Rachana Banerjee Stage Show : নিজের সমসাময়িক যেকোনো অভিনেত্রীকে পেছনে ফেলে দিয়ে সামনে এগিয়ে গেছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee)। তিনি শুধু একজন অভিনেত্রী নন, জি বাংলা ( Zee Bangla) -র দিদি নাম্বার ওয়ান (Didi No 1)- এর হাত ধরে তিনি আজ পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেক মেয়েদের কাছে অনুপ্রেরণা। বাংলার দর্শকদের কাছে রচনা ব্যানার্জীই হলেন প্রকৃত দিদি নাম্বার ওয়ান। যে অভিনেত্রীর নাম সারা বাংলার মানুষের ঘরে ঘরে এক নামে উচ্চারিত হয় সেই অভিনেত্রী কিনা এবার ফেঁসে গেলেন আইনি মামলায়। কি এমন করলেন তিনি?
রচনা, অমিতাভ বচ্চন থেকে শুরু করে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, সকলের সঙ্গেই অভিনয় করেছেন তিনি। বয়স কি যে কিভাবে ধরে রাখতে হয় তা খুব ভালো করেই জানেন এই অভিনেত্রী। ব্যক্তিগত জীবনে সুখ না পেলেও তা অভিনেত্রীর চোখে মুখে কখনোই ফুটে ওঠে না বরং অভিনেত্রীর জীবন কাহিনী বারবার অনুপ্রাণিত করে সকলকে। রচনা শুধু অভিনয়ের মাধ্যমে নয়, নিজের সৌন্দর্যের দ্বারাও সকলের মন জয় করেছেন বারবার।
রচনা আজ সারা বাংলার মেয়েদের কাছে এমন একটি প্লাটফর্ম নিয়ে এসেছেন, যেখানে দাঁড়িয়ে সকলে নিজের মনের কথা উজার করে বলে দিতে পারেন। শুধু প্রতিযোগী নন, কখনো কখনো রচনাকেও নিজের মনের কথা বলতে শোনা গেছে এই মঞ্চে। শোনা গেছে, তিনি কিভাবে নিজের সন্তানকে একা প্রতিপালিত করেছেন। আজ সঞ্চালনা করার পাশাপাশি তিনি শাড়ি এবং কসমেটিক ব্যবসাতেও মন দিয়েছেন। এত সুন্দর অভিব্যক্তি যার, তিনি কিভাবে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন?
সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার এলাকায় একটি মাচা শো করতে গিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন অভিনেত্রী। কালীপুজোর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে কলকাতা থেকে ‘গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া স্টিকার’ লাগানো একটি গাড়িতে করে পূর্ব মেদিনীপুর পৌঁছেছিলেন তিনি। কিন্তু কোন রকম সরকারি পদ না থাকা সত্ত্বেও কেন তিনি গভর্মেন্ট অফ ইন্ডিয়ার স্টিকার লাগিয়ে রেখেছেন নিজের গাড়িতে? প্রশ্ন উঠেছে সেখানেই।
শুধু স্টিকার লাগানো নয়, WB24TB777 নম্বর প্লেট লাগানো গাড়ির আবার ইন্সুরেন্স ফেল অর্থাৎ জোড়া বিতর্ক হয়েছে তৈরি। এই প্রসঙ্গে অনুষ্ঠান শেষে প্রশ্নের মুখে পড়লে রচনা বলেন, আসলে তিনি কিছুই জানেন না। গাড়িটি পাঠানো হয়েছে উদ্যোক্তাদের তাদের তরফ থেকে। বিতর্ক এড়ানোর জন্য বাড়ি ফেরার আগেই গাড়ি থেকেই ওই স্টিকারটি খুলে ফেলে দেন গাড়ি চালক।
তবে সত্যিই উদ্যোক্তারা এই স্টিকারটি লাগিয়েছেন কিনা সেই প্রসঙ্গে ক্লাবের সম্পাদক বিশ্বজিৎ দত্তকে জিজ্ঞাসা করায় তিনি বলেন, “আমি কাউকে গাড়ি দিইনি। উনি হয়তো কোথাও ভুল করছেন। উনি নিজেই গাড়ি নিয়ে এসেছেন। আমরা কোন গাড়ি পাঠাইনি।” এদিকে স্টিকার বিতর্কে কোন বাড়তি কথা না বলে গাড়িতে ওঠার আগেই স্টিকার তুলে দিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যান রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, এদিন অনুষ্ঠানে এসে রচনা গ্রামবাসী তথা উদ্যোক্তাদের প্রশংসা করে বলেন, “আমার খুব ভালো লাগে এমন অনুষ্ঠানে আসতে। এই মানুষগুলোর জন্যই আজ আমি স্টার হয়েছি। সমস্ত আয়োজনটাই ভীষণ ভালো হয়েছে।” এদিন ধূসর রঙের একটি সালোয়ার কামিজ পড়ে অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন রচনা। কানে পড়েছিলেন ঝুমকো, মুখে মানানসই মেকআপ।