আজ শুধু বলিউডে (Bollywood) নয়, গোটা পৃথিবীতে প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে (Priyanka Chopra) এক ডাকে প্রায় সবাই চেনে। বলিউডের পাশাপাশি হলিউডের (Hollywood) একজন নামী তারকা এখন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি গানেও তিনি বাজিমাত করছেন একের পর এক। তবে প্রাক্তন মিস ওয়ার্ল্ড প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে তার নিজের দেশেই নোংরা রাজনীতির শিকার হতে হয়। এতদিনে এই বিষয়ে মুখ খুললেন তিনি।
ইন্ডাস্ট্রিতে একসময় বেশ ভালই কাজ করছিলেন প্রিয়াংকা। কিন্তু শাহরুখ খানের সঙ্গে একটি বিতর্কের পর তার কেরিয়ার বলিউডে এক প্রকার নষ্ট করে দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লাগেন একদল মানুষ। এতদিন এই বিষয়ে কিছু না বললেও এবার বলিউডের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তিনি। সরাসরি জানালেন একপ্রকার বাধ্য হয়ে তাকে দেশ ছাড়তে হয়েছিল।
প্রিয়াঙ্কা কেন নিজের দেশ ছেড়ে সুদূর আমেরিকা পাড়ি দিয়েছিলেন সেই প্রসঙ্গে তিনি এতদিনে আসল কারণটা বললেন। তিনি বলেন, “আমি আগে কখনো যা বলিনি তা আজ বলছি। সেই সময় আমাকে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এক ঘরে করে দেওয়া হয়েছিল। আমাকে ছবিতে কাস্ট করা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আমি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির রাজনীতিতে ক্লান্ত হয়ে পড়ি। আর পেরে উঠছিলাম না।”
তিনি আরও বলেন সেই সময় তার মনে হয়েছিল একটা বিরতির দরকার। আর সেই কারণে তিনি মিউজিক নিয়ে ভাবার সময় পান। প্রিয়াঙ্কা বলেন মিউজিক তাকে সেই সময় অন্য একটি দুনিয়ার অংশ হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল। তিনি তার ম্যানেজারের পরামর্শে আন্তর্জাতিক মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেন।
প্রিয়াঙ্কা প্রশ্ন ছোঁড়েন, “আমাকে কাজ পেতে হলে কেন কিছু দল, গোষ্ঠীর সঙ্গে মেলামেশা করতে হবে? ততদিনে আমি তো অনেক কাজ করে ফেলেছি। তাই ওরা আমার কেরিয়ার নষ্ট করতে উঠে পড়ে লেগেছিল। আমাকে ওদের ছবি থেকে শুধু বাদ দেওয়া হয়নি, বাকিরাও যাতে না নেয় তার জন্য চেষ্টা করা হয়। সে সময় মিউজিকের হাত ধরে ঠিক করে ফেলি আমেরিকা চলে যাব।”
এরপর প্রিয়াঙ্কা আমেরিকাতে এসে তারকা গায়ক পিটবুল, উইল আই অ্যাম, ফারেল উইলিয়ামস, মার্কিন র্যাপার জায়েজদের সঙ্গে কাজ করেন। আমেরিকাতে এসে অভিনয়ে কেরিয়ার গড়ে তুলতেও তাকে বিশেষ বেগ পেতে হয়নি। তিনি এবিসির কোয়ান্টিকোর কেন্দ্রীয় চরিত্রের পর বেওয়াচ, ম্যাট্রিক্স : রেভোলিউশনস, দ্য হোয়াইট টাইগার ছবিতে কাজ করেন। শীঘ্রই সিটাডেল সিরিজে দেখা যাবে তাকে। আগামী মে মাসে মুক্তি পাবে প্রিয়াংকার আরেকটি হলিউড ছবি ‘লাভ এগেইন’।