টলিউডের খোদ ইন্ডাস্ট্রি তিনি। তার বিরুদ্ধে নাকি কোনও কথা বলা যায় না ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে কিংবা বাইরে। প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জীর (Prasenjit Chatterjee) বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছিলেন তার সহ অভিনেতা এবং অভিনেত্রীরাই। প্রসেনজিতের বিরুদ্ধে বহুবার সরব হয়েছেন চিরঞ্জিত চক্রবর্তী, অভিষেক চ্যাটার্জী (Abhishek Chatterjee) থেকে শুরু করে শ্রীলেখা মিত্ররা (Sreelekha Mitra)। তবে এই বিষয়ে কখনও সরাসরি মুখ খোলেননি অভিনেতা। এতদিনে মৌনতা ভাঙলেন তিনি।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর বলিউডের পাশাপাশি টলিউড থেকেও নেপোটিজম নিয়ে সরব হয়েছিলেন বহু অভিনেতা এবং অভিনেত্রীরা। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন শ্রীলেখা। তিনি সরাসরি অভিযোগ করেছিলেন প্রসেনজিতের সঙ্গে ঋতুপর্ণার ’প্রেম’ থাকার কারণেই নাকি তিনি যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও বহু ছবিতে নায়িকার চরিত্র পাননি। সম্প্রতি জি ২৪ ঘন্টার কাছে এই বিষয়ে প্রথম বার মুখ খুললেন প্রসেনজিৎ।
প্রসেনজিৎ শ্রীলেখার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বলেছেন তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগটা করেছেন শ্রীলেখা সেটা আসলে তার অভিমান। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন শ্রীলেখাকে তিনি সম্মান করেন। শ্রীলেখা অত্যন্ত ভাল অভিনেত্রী। শ্রীলেখাও তাকে সম্মান করেন। তবে যে কথাটি তিনি বলেছেন সেটা হয়ত তার কোনও অভিমান থেকে বেরিয়ে এসেছে। এর জন্য শ্রীলেখার প্রতি তার কোনও রাগ কিংবা দুঃখ নেই প্রসেনজিতের মনে।
প্রসেনজিতের কথায়, ‘‘১৪ বছর যখন ঋতু আর আমি একসঙ্গে কাজ করিনি, তখন রচনা আমার সঙ্গে ৩৫টা ছবি করেছে। অর্পিতাও সুপারহিট ছবি দিয়েছে, পরে ও অবশ্য নিজের সিদ্ধান্তেই সরে যায়। এছাড়া ইন্দ্রাণী হালদার আমার সঙ্গে ২৫টা ছবি করেছে। তারও আগে শতাব্দী-আমিও হিট জুটি ছিল। তবে হ্যাঁ, প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা জুটিকে মানুষ ভালোবাসা দিয়েছেন, মনে রেখেছেন। সেটা একটা ম্যাজিক।”
তিনি আরও বলেছেন, “১৪ বছর পর যখন আমরা ফিরলাম, তখনও প্রমাণ হয়েছে এই জুটিতে ম্যাজিক আছে। এটা বাদ দিলে বাকিদের সঙ্গেও কাজ করেছি। পরের দিকে আমার থেকে অনেক ছোট কোয়েল, স্বস্তিকা, পাওলি, সকলের সঙ্গেই কাজ করেছি। আমার জীবনে কলকাতা বোম্বে মিলিয়ে প্রায় ১০০ জন নায়িকা রয়েছেন।’’ প্রসেনজিতের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে তিনি নাকি অনেকের কেরিয়ার নষ্ট করেছেন।
সমস্ত জবাবের পরিপ্রেক্ষিতে প্রসেনজিতের উত্তর, ‘‘কেউ যদি সাকসেস দেয়, দর্শকের যদি ভালো লাগে, হলে যদি লোক আসে, তাহলে এটা আটকানোর ক্ষমতা কি পৃথিবীতে কোনও মানুষের আছে? এটা একমাত্র ঈশ্বরের আছে। আমি কি হলের বাইরে দাঁড়িয়ে বলব, ওঁর ছবি দেখবেন না। আমি যতই চালনা করার চেষ্টা করি না কেন, আমার ৪টে ছবি যদি না চলে, তখন আরেক প্রতিভা সামনে আসতে বাধ্য।’’ সেই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন করেছেন, ”আমি যদি ব্যবসা না দিতাম, তাহলে প্রযোজকরা আমায় নিতেন?”