অবশেষে দর্শকদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার হল অবসান। এতদিন কেবল টুকরো টুকরো কিছু ছবি আর চরিত্রদের লুকের ঝলক দেখেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। কিন্তু এবার এসে গেল ‘পোন্নিয়ান সেলভান’ (Ponniyin Selvan) এর টিজার। ইতিহাস নির্ভর কল্পকাহিনীর আশ্রয়ে এই ছবিটিও যে বাহুবলীর তুলনায় কিছু কম আকর্ষণীয় হবে না তা প্রথম ঝলকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
‘বাহুবলী’ এবং ‘বাহুবলী টু’ ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে যুগান্তকারী দুটি ছবি। প্রথমটি থেকে ৬৫০ কোটি টাকা এবং দ্বিতীয় ছবিটি থেকে সারা বিশ্বব্যাপী ১৭০০ কোটি টাকা উঠে এসেছিল বক্স অফিসে। বাহুবলীর মতো এই দুটো পার্টে বানানো হবে ‘পোন্নিয়ান সেলভান’ বা PS-1।
চোল সাম্রাজ্যের গল্পের উপর ভিত্তি করে এক অসাধারণ ভিজুয়াল ইফেক্ট তুলে ধরা হবে দর্শকদের সামনে যা সিনেমা হলে মোহিত করে রাখবে দর্শকদের তা নিশ্চিত। জনপ্রিয় লেখক কল্কি কৃষ্ণমূর্তি রচিত তামিল উপন্যাস অবলম্বনে বানানো হয়েছে ছবিটি। কল্কি কৃষ্ণমূর্তি লিখিত উপন্যাসের ২২০০ পৃষ্ঠা রয়েছে যা বই আকারে প্রকাশ করা হয়। চোল সাম্রাজ্যের রাজা আরুলমোঝি বর্মণের জীবনকাহিনী অবলম্বনে সম্পূর্ণ উপন্যাসটি লিখেছিলেন কল্কি কৃষ্ণমূর্তি।
আরুলমোঝি ছিলেন চোল সাম্রাজ্যের সর্বশ্রেষ্ঠ রাজা। কথিত আছে পাঁচ বছর বয়সে তিনি নাকি নদীতে ডুবে যাচ্ছিলেন। কিন্তু স্বয়ং নদী এসে তার প্রাণ বাঁচায়। তখন তার নাম রাখা হয় ‘পোন্নিয়ান সেলভান’, যার অর্থ হল কাবেরী নদী নিজেই যাকে জীবন দান করেছেন! টিজারে এই দৃশ্যটি হাতে আঁকা দৃশ্যের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। এই দৃশ্য দেখে এক লহমাতে মনে পড়ে যাচ্ছে বাহুবলীর প্রথমদিকের একটি দৃশ্য, যেখানে রাজমাতা শিবগামী ছোট্ট বাহুবলীকে কোলে করে গুহা থেকে বেরিয়ে আসছেন।
তাকে ধাওয়া করে দুই সৈন্য। সেই সৈন্যদের মেরে শিশুটির প্রাণ বাঁচাতে তিনি ছুটতে শুরু করেন এবং একসময় খরস্রোতা নদীতে পা পিছলে পড়ে যান। শিবগামী নিজে আপদমস্তক ডুবে গেলেও নদী থেকে হাত উঁচু করে ধরে রেখেছিলেন অমরেন্দ্র বাহুবলীর ছেলে মহেন্দ্র বাহুবলীকে। এই টিজার দেখে মনে করা হচ্ছে এস এস রাজামৌলি ‘পোন্নিয়ান সেলভান’ পড়েই এই দৃশ্যের ধারণা পেয়েছিলেন।