শৈশবেই মা হারা, কষ্টে কেটেছে ছেলেবেলা! পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাহিনী শুনলে চোখে জল আসবেই

৫ বছরেই মা হারা, কষ্টে কেটেছে ছোটবেলা! পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবন যেন সিনেমা

Pinki Banerjee

Published on:

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের পর এখন বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সব থেকে বয়স্ক এবং সক্রিয় অভিনেতা হলেন পরান বন্দ্যোপাধ্যায় (Paran Bandopadhyay)। এখনো এই বয়সে একের পর এক সিনেমায় অভিনয় করে চলেছেন তিনি। সম্প্রতি ঘরে ঘরে জি বাংলায় পরান বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের জীবনের অনেক অজানা কথা শেয়ার করলেন সকলের সঙ্গে।

পরান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে বিশ্বনাথ বসু এবং গোটা জি বাংলা টিম এসেছিলেন ঘরে ঘরে জি বাংলা খেলতে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলে মেয়ে, পুত্রবধূ এবং নাতনী। গল্পের ছলে এই বর্ষিয়ান অভিনেতা বললেন নিজের ছোটবেলার নানান অজানা কাহিনী, বললেন নিজের নামের নেপথ্যে থাকা কাহিনী।

Paran Bandopadhyay

পরান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,” আমার যখন ৫ বছর বয়স তখন আমার মা মারা যান। আমার বাবা আমাকে তখন তার এক পিসতুতো বোনের কাছে দিয়ে দেন আমায়। ব্যাস তারপর থেকেই তিনি আমার মা হয়ে যান। ওই পিসি আমায় বুকের ধন, পরান বলে ডাকতেন। তারপর থেকেই আমার নাম হয়ে যায় পরান।” পরান বাবু ছাড়াও বিশ্বনাথের সাথে কথা বললেন পরান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলে, মেয়ে, বৌমা ও একটি ফুটফুটে নাতনি।

ছেলে মেয়ে তো বটেই, বৌমার সঙ্গেও পরান বাবুর যে ভীষণ ভালো সম্পর্ক সেটাও জানা যায় ঘরে ঘরে জি বাংলার এই পর্ব থেকে। পরান বাবুর নাতনি তার ভীষণ আদরের। বাবা মা না থাকলে দাদুর কাছেই বেশিরভাগ সময় কাটায় সে। দাদুর প্রশ্রয়ে এবং বাবা-মার ভালোবাসায় বেড়ে উঠছে, পরান বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাতনি।

Paran Bandopadhyay

প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে পরান বন্দ্যোপাধ্যায় সহ গোটা প্রধান টিম অপেক্ষা করে রয়েছেন ২২ ডিসেম্বরের জন্য। সারাদিন জুড়ে সেদিন মুক্তি পাবে দেব অভিনীত প্রধান। সিনেমায় দিয়ে ছাড়াও অভিনয় করবেন সৌমিতৃষা কুন্ডু, অনির্বাণ চক্রবর্তী, মমতা শংকর, সোহম চক্রবর্তী সহ আরো অনেক কলা কুশলীরা।

আরও পড়ুন : সাবিত্রীকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন পরাণ! কেন বিয়ে হল না? এতদিনে ফাঁস করলেন অভিনেত্রী

Paran Bandopadhyay

আরও পড়ুন : মনে-প্রাণে ‘স্বামী’ বলে মানেন আজও! উত্তম কুমার নন, সাবিত্রী চ্যাটার্জীর আসল স্বামী কে?

উল্লেখ্য, ঘরে ঘরে জি বাংলার হাত ধরে বিশ্বনাথ বসু এবং অপরাজিতা আঢ্য পৌঁছে যান শহর থেকে গ্রামাঞ্চলের বহু মানুষের বাড়িতে। আমরা শুনতে পাই কত মানুষের অজানা কাহিনী, জানতে পারি রোমাঞ্চকর কিছু গল্প। প্রথমদিকে দুপুর বেলা ঘরে ঘরে জি বাংলা সম্প্রচারিত হলেও এখন সাড়ে চারটের সময় সম্প্রচারিত হয় এই শো টি।