TMC MP Nusrat Jahan : ২৪ কোটি টাকার ফ্ল্যাট প্রতারণা অভিযোগ। অভিযোগের কেন্দ্র বিন্দুতে তৃণমূল (Trinamool Congress) বসিরহাট (Basirhat) -র সাংসদ নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, নুসরতের লড়াই নুসরতকেই লড়তে হবে। তারপর তৃণমূলের অন্দরে মোটামুটি সবাই চুপ। তবে এখন প্রশ্ন উঠেছে সাংসদ হিসাবে কেমন ছিল অভিনেত্রী? চলুন জেনে নিই।
২০১৯ -এর লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের মধ্যে সর্বাধিক ভোট পেয়ে ঘাসফুলের সাংসদ হন অভিনেত্রী নুসরত জাহান। তারপর থেকে একাধিকবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন তিনি। কখনও বিতর্কিত মন্তব্য, আবার কখনও কালীপুজোর আসরে গ্রামবাসীদের মধ্যে নেমে খিচুড়ি ভোগ রান্না করা। এমনকি বসিরহাটে সাংসদের নামে নিখোঁজ পোস্টারও পড়েছিল।
আর এসবের মধ্যে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিনয় উঠেছে নুসরতের নামে। এদিকে বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। এই মত অবস্থায় এখন প্রশ্ন নুসরত কি আবার টিকিট পাবেন? যদিও এর উত্তর পেতে গেলে দেখে নিতে হবে সাংসদ হিসাবে কেমন ছিল নুসরাত। এই ৫ বছরে বসিরহাটের কতটা উন্নতি করেছেন তিনি?
আসলে নিজের এলাকায় কাজ করানোর জন্য প্রত্যেকজন সাংসদ সদস্য বছরে ৫ কোটি টাকা পান। কিন্তু একবারে সেই টাকা পান না। প্রথমে আড়াই কোটি টাকা পান সেটা দিয়ে কিছু কাজ করার পর সেই কাজের প্রমাণ দেখানোর পর বাকি টাকাটা পান। আর প্রথম টাকা ঠিক মতো খরচ করতে না পারলে পরের টাকা দেওয়া হয় না।
কিন্তু যেহেতু ২০২০ থেকে কোভিড পরিস্থিতি চলছিল আর কাজ বন্ধ ছিল তাই কোনো সাংসদই ২৫ কোটি টাকা পাননি। এবার ১৭ কোটি টাকা করে পেয়েছেন প্রতিটি সংসদ। তবে প্রথম পদক্ষেপে নুসরতের প্রস্তাবিত প্রকল্প বা কাজ জমা পড়ার পর সাড়ে ৯ কোটি টাকা ধার্য্য হয়েছে। তার মধ্যে তিনি ৭ কোটি ৩৭ লাখ টাকা খরচ করেছেন।
বসিরহাটের উন্নতির জন্য সংসদ নুসরত যে সকল কাজ গুলি করেছেন সেগুলি হল : বসিরহাট জেলা হাসপাতালে আইসিইউ ভেন্টিলেটর বসানো হয়েছে। কোভিডের সময়ে এই টাকায় অনেক জরুরি কাজ হয়েছে। বসিরহাট কলেজে স্মার্ট ক্লাসঘর তৈরি করা। বসিরহাটের বিভিন্ন জায়গায় সিসিটিভি বসানো। বসিরহাটের বিভিন্ন জায়গায় পানযোগ্য জলের ব্যবস্থা করা। বসিরহাটের বিভিন্ন জায়গায় সোলার আলো বসানো। বসিরহাট উত্তরে ধান্যকুড়িয়া সত্যজিৎ রায় বিনোদন পার্ক, ওয়াটার ট্যাঙ্ক হয়েছে।
আরও পড়ুন : কোটি কোটি টাকার প্রতারণা! নুসরাতকে নিয়ে বোমা ফাটালেন সায়নী ঘোষ
তবে নুসরতের কাজ নিয়ে বসিরহাটে মানুষ তার পক্ষেও কথা বলেছেন আবার বিপক্ষেও কথা বলেছেন। অনেকেই বলছেন, অভিনেত্রী সাংসদ এই ৫ বছরে অনেক উন্নয়ন করেছেন বসিরহাট এলাকার। আবার অনেকেই অভিযোগ করছেন, সাংসদ নুসরতকে দেখাই যায় না এলাকায়। কী উন্নয়ন হয়েছে, এই পাঁচ বছরে তা জানা নেই! বিশেষ দিনে কর্মসূচি পালনেই একমাত্র হাজির হতে দেখা যে যায় তাকে।
আরও পড়ুন : দামী ব্র্যান্ডের ব্যাগ ছাড়া ব্যবহার করেন না! নুসরাতের একটা ব্যাগের দামেই বিশ্ব ঘোরা যাবে