রিলায়েন্স গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজ (Reliance Group Of Industries) এর মালিক মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani) এবং তার পরিবারের সম্পত্তির পরিমাণ সম্পর্কে মোটামুটি সকলেরই একটা ধারণা রয়েছে। মুকেশ আম্বানি হলেন ভারত তথা এশিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ ধনকুবের। বিশ্ববিখ্যাত ধনকুবেরদের তালিকাতে তিনি থাকেন প্রথম সারিতে। তবে রিলায়েন্সের আসল স্তম্ভ কিন্তু হলেন মুকেশের কর্মচারীরা।
ধীরুভাই আম্বানির প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়িক ক্ষেত্রকে আজ সফলতার শিখরে নিয়ে গিয়েছেন মুকেশ আম্বানি। এই সফরে সব সময় তার সঙ্গে থেকেছেন তার কর্মচারীরা। আজকের এই প্রতিবেদনে রইল রিলায়েন্সের একজন অন্যতম ব্যবসায়িক প্রধান নিখিল মেসওয়ানি (Nikhil Meswani) -র সম্পর্কিত কিছু অজানা কথা।
মুকেশ আম্বানি কখনও তার কর্মচারীদের বেতন থেকে শুরু করে দেখভালে কোনও কমতি রাখেননি। মোটা অংকের বেতনের পাশাপাশি তাদের জন্য সমস্ত সুযোগসুবিধার বন্দোবস্ত করেছেন তিনি। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের পেট্রো কেমিক্যাল ব্যবসার প্রধান হলেন নিখিল। নিখিল এই ব্যবসাকে সফলতার শিখরে পৌঁছে দিয়েছেন।
নিছক একজন কর্মচারী নন, নিখিল হলেন মুকেশ আম্বানির একজন খুবই নিকট আত্মীয়। ১৯৮৬ সালে তিনি এই কোম্পানিতে যোগদান করেছিলেন। তারপরে মুকেশ আম্বানি তাকে নির্বাহী পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত করেন। এখন কিন্তু তার বেতন আকাশ ছোঁয়া। এমনকি মুকেশ আম্বানির থেকেও তিনি নাকি বেশি বেতন পান।
এই দাবি কোনও উড়ো খবর নয়, ফোর্বসের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে মুকেশ আম্বানির থেকেও বেশি বেতন পান নিখিল। কয়েক দশক ধরে মুকেশ আম্বানি ১৫ কোটি টাকা করে বেতন নিচ্ছেন। বেতনের কোনও ইনক্রিমেন্ট তিনি নেন না। অন্যদিকে ২০২১ ২২ অর্থবর্ষে নিখিল ২৪ কোটি টাকা বেতন পেয়েছেন।
আরও পড়ুন : বেতন মাসে ২ লাখ, বিদেশে পড়ে সন্তানরা, মুকেশ আম্বানির কর্মচারীরা আর কী কী সুবিধা পান?
অর্থাৎ মুকেশ আম্বানির থেকে প্রায় নয় কোটি টাকা বেশি বেতন পান তার কর্মচারী। এখন টেলিকম সেক্টরে রিলায়েন্সের এত অগ্রগতির জন্য নিখিল মেসোওয়ানিকে সমস্ত কৃতিত্ব দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে রিলায়েন্স রিটেল সেক্টরেও যেভাবে এগোচ্ছে তার জন্যেও কৃতিত্ব পাচ্ছেন তিনি। তাকে বর্তমানে বলা হয় রিলায়েন্সের মেরুদন্ড।
আরও পড়ুন : বিশ্বের সবথেকে ধনী এই মহিলা, যার সম্পত্তির পরিমাণ মুকেশ আম্বানির থেকেও বেশি