হিন্দু শাস্ত্রে (Hindu Shashtra) ভগবানের মূর্তি (Idols Of God) পূজার বিধি রয়েছে। আরাধ্য দেবতার মূর্তি কিংবা তার ছবির উপাসনা করার মাধ্যমে ঈশ্বরের কৃপা লাভ হয় বলে বিশ্বাস করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। বাড়িতে দেবদেবীর মূর্তি থাকা শুভ বলে মনে করা হয়। এতে জীবনে সুখ-শান্তি আসে, ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাসে সব বাধা-বিপত্তি কেটে যায়। তবে জানেন কি এমন অনেক দেবদেবী রয়েছেন যাদের মূর্তি বাড়িতে রাখলে ফল হবে উল্টোটা?
হিন্দু শাস্ত্র মতে এমন অনেক দেবী-দেবতার পূজা করা হয় যাদের মূর্তি কখনও বাড়িতে রাখতে নেই। এদের পূজা মন্দিরেই হওয়া উচিত। বাড়িতে রেখে পূজো করলে বরং বিপদ বাড়বে। জানেন এই তালিকায় কোন কোন দেবতার নাম রয়েছে? এখনই দেখে নিন এই প্রতিবেদন থেকে।
ভৈরবনাথ (Bhairavnath) : শাস্ত্র মতে ভৈরব নাথকে কাল ভৈরব বলা হয়। কালভৈরব হল শিবের সব থেকে ভয়ংকর রূপ। শাস্ত্র মতে এই দেবতার পূজোর বাড়ির বাইরে হওয়া উচিত। বাড়ির ভেতরে তার মূর্তি প্রতিষ্ঠা করলে সংসারে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি এর প্রভাব গোটা পরিবারের উপর পড়ে।
মহাকালী (Mahakali) : মহাকালী, মা পার্বতীর এক রূপ। বলতে গেলে পার্বতীর সবথেকে ভয়ংকর রূপ হলেন মহাকালী। কাল ভৈরবের মত মহাকালীর মূর্তিও বাড়িতে থাকা উচিত নয়। বাড়িতে এই দেবীর মূর্তি স্থাপন করার মানেই হল অশুভ শক্তিকে আমন্ত্রণ জানানো। এই দেবীর মূর্তি তাই মন্দিরেই রাখার নিদান দেওয়া হয়েছে।
শনিদেব (Shanidev) : ন্যায় এবং কর্মফল দাতা শনিদেব এমনিতে ভীষণ ভয়ঙ্কর। বলা হয় শনিদেবের দৃষ্টি সবকিছু ধ্বংস করে দিতে পারে। শনিদেবের কৃপা পেতে ও দৃষ্টি এড়াতে তাই বাড়িতে কখনও তাঁর মূর্তি রাখবেন না। বরং শনিদেবের মন্দিরে গিয়ে তার আরাধনা করতে পারেন।
রাহু ও কেতু (Rahu And Ketu) : রাহু এবং কেতুকে ছায়া গ্রহ বলা হয়। গ্রহ রূপে তাদের পূজা করা হয়ে থাকে। রাহু ছিলেন একজন রাক্ষস। অমৃত পানের পর তিনি অমরত্ব লাভ করেন। স্বয়ং ভগবান বিষ্ণু তার শিরচ্ছেদ করেছিলেন। তার মাথাকে রাহু এবং দেহের বাকি অংশকে কেতু বলা হয়। রাহু-কেতুর মূর্তিও বাড়িতে রাখতে নেই।