ফের একবার জি বাংলার (Zee Bangla) দিদি নাম্বার ওয়ানের (Didi Number One) বিরুদ্ধে গর্জে উঠলো সোশ্যাল মিডিয়া। গত দশ বছর ধরে দিদি নাম্বার ওয়ান বহু মহিলার কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে। রচনা ব্যানার্জীর দৌলতে এই দিদি নাম্বার ওয়ান আজ একটা ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এমনকি রাজ্যের বাইরে কিংবা দেশের বাইরে থেকে মহিলাদের তাদের কথা বলার একটা প্ল্যাটফর্ম গড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে সেই দিদি নাম্বার ওয়ানের বিরুদ্ধে এল আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি!
দিদি নাম্বার ওয়ানে প্রতিদিন চারজন করে দিদির জীবনের গল্প শোনার পাশাপাশি তাদের নিয়ে খেলা এবং তাদের হাতে উপহার তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। সমাজে অত্যাচারিত, নিপীড়িত মহিলারা এখানে এসে রচনা ব্যানার্জীকে তাদের সংগ্রামের কাহিনী শোনান। কীভাবে তারা সেই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়েছেন কিংবা ঘুরে দাঁড়িয়েছেন জীবনে তা অনুপ্রেরণা হয়ে দাঁড়ায় বাকিদের জন্য। তবে এই নিয়েই প্রতিবাদে সোচ্চার হলেন সোশ্যাল মিডিয়ার একটা বড় অংশ।
হঠাৎ কী এমন ঘটলো? কেনই বা দিদি নাম্বার ওয়ান নিয়ে এত অসন্তোষ লক্ষ্য করা যাচ্ছে দর্শকদের মধ্যে? ঘটনাটা জানতে হলে পিছিয়ে যেতে হবে কয়েকটা দিন। আসলে শুধু কয়েকটা দিনের গল্প এটা নয়, বছরের পর বছর ধরে এই প্ল্যাটফর্মে কেবল সমাজে নিপীড়িত মহিলাদের কাহিনী শোনানো হচ্ছে। স্বামী কিংবা শ্বশুরবাড়িতে তারা কতটা অত্যাচারিত হচ্ছেন তা তুলে ধরা হচ্ছে, তবে আদেও সেসবের বাস্তবতা কী? পুরুষরাও অত্যাচারিত হন মহিলাদের কাছে, সে কথা শোনানোর প্ল্যাটফর্ম আছে কী?
প্রায় সময় দিদি নাম্বার ওয়ানে ডিভোর্সী মহিলাদের প্রতিযোগিতায় আমন্ত্রণ জানানো হয়। তারা এসে একতরফাভাবে এই প্ল্যাটফর্মকে হাতিয়ার করে প্রাক্তন স্বামী কিংবা শ্বশুরবাড়ি সম্পর্কে প্রকাশ্যে অভিযোগ করেন। তবে তার সত্য মিথ্যা যাচাই করার সুযোগ থাকে না। এই প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে মহিলারা মিথ্যে কথা বললেও আসল সত্যি জানার কোনও উপায় নেই।
এই বিষয়টিকে নিয়েই সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুলে ছিলেন বেহালার একজন বাসিন্দা। তার দাবী কিছুদিন আগেই তার প্রাক্তন স্ত্রী দিদি নাম্বার ওয়ানে এসে তাদের বিচ্ছেদ সম্পর্কে অনেক কথা বলে গিয়েছেন। তবে তিনি নিজে কী কী করেছেন, সেসব অন্যায় বেমালুম চেপে গিয়েছেন। এখন প্রশ্ন উঠছে মহিলারা তাদের ‘দুঃখের কাঁদুনি’ গেয়ে সহানুভূতি কুড়াচ্ছেন, তবে সমাজে অত্যাচারিত পুরুষেরাও রয়েছেন। দিদি নাম্বার ওয়ান তো তাদের কথা শোনে না!
ওই ব্যক্তিকে সমর্থন করে সোশ্যাল মিডিয়াতে একটা বড় অংশ দিদি নাম্বার ওয়ানের বিরুদ্ধে কলম ধরেছেন। বাস্তব জীবনের উদাহরণ তুলে ধরে তারা সমর্থন করছে ওই ব্যক্তিকে। কেউ কেউ বলছেন সমাজে মহিলাদের অত্যাচারিত, নিপীড়িত হিসেবে দেখানো এবং পুরুষদের প্রতিবার দোষীর কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য দিদি নাম্বার ওয়ানের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ হওয়া উচিত! আপাতত এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া।