গোটা বিশ্বে এখন মুকেশ আম্বানিকে (Mukesh Ambani) এক ডাকে কে না চেনেন? মুকেশ আম্বানির পাশাপাশি তার স্ত্রী নীতা আম্বানিও (Nita Ambani) এখন গোটা বিশ্বের কাছে পরিচিত নাম। আজ এত বছর বাদেও তারা যেভাবে সুখে-শান্তিতে সংসার করছেন তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। এত বছরে তাদের সম্পর্কে কখনও চিড় ধরার খবর পাওয়া যায়নি। এই প্রেম কাহিনীর নেপথ্যে কোন গল্প লুকিয়ে আছে জানেন? জানেন কিভাবে গড়ে উঠেছিল মুকেশ-নীতার সম্পর্ক?
মুকেশ আম্বানি এবং নীতা আম্বানির প্রেমের কাহিনী কিন্তু বলিউডের যেকোনও সুপারহিট সিনেমার গল্পকেও হার মানাবে। এই প্রেমের সূত্রপাত হয়েছিল মুম্বাইয়ের পেডের রোডে। হ্যাঁ, মুম্বাইয়ের এই রাস্তার সঙ্গে জুড়ে রয়েছে তাদের জীবনের বড় একটা স্মৃতি। কারণ এই রাস্তার উপরেই নাকি নীতাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন মুকেশ। রীতিমত ফিল্মি স্টাইলেই এরপর এগিয়েছিল গল্প।
নীতা ছিলেন মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। প্রথম জীবনে তিনি ৮০০ টাকা বেতনে একটি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। তাকে দেখেই নাকি নিজের ছেলের জন্য পছন্দ হয়ে গিয়েছিল ধীরুভাই আম্বানির। সুন্দরী, সুশিক্ষিতা এবং কর্মপটু নীতাকেই নিজের পুত্রবধূ বানাতে চেয়েছিলেন ধীরুভাই আম্বানি। তাই তিনি নাকি তাকে নিজের অফিসেও ডেকে পাঠান। যদিও এরপরে বেশ একটা মজার ঘটনা ঘটেছিল।
ধীরুভাই আম্বানি নিজেই নীতাকে ফোন করে তার অফিসে ডেকেছিলেন। তবে নীতা সে কথা বিশ্বাস করেননি। ধীরুভাই যখন নীতাকে নিজের পরিচয় দেন তখন সেটাও অবিশ্বাস করে নীতা ফোন রেখে দেন। দ্বিতীয়বার ফোন করলে নীতা উত্তর দেন, “আপনি যদি ধীরুভাই আম্বানি হন তাহলে আমি এলিজাবেথ টেলর”। আবারও ফোন কেটে দেন নীতা। এরপর বাবার বকুনি খেয়ে তৃতীয়বার তাদের মধ্যে ভাল করে কথা হয়।
মুকেশ আম্বানি হবু বৌমাকে অফিসে ডেকে অনেকক্ষণ ধরে তার পরীক্ষা নেন। বেশ কিছুক্ষণ প্রশ্নোত্তর পর্ব চলার পর ডাক পড়ে মুকেশের। প্রথম দেখাতে একটু অস্বস্তি বোধ করেন নীতা। এমনকি ৬-৭ বার দেখা হলেও তার মনের অস্বস্তি কাটেনি। তবে একা ধীরুভাই আম্বানিই নয়, নীতাকে দেখে এবং তার নাচ দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন তার স্ত্রী ও মুকেশের মা কোকিলাবেনও। এরপর বিয়ের কথাবার্তা এগোয় খুব তাড়াতাড়ি।
এদিকে একদিন নিজেদের প্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হন মুকেশ এবং নীতা। মুম্বাইয়ের পেডার রোডের উপর দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় যানজটের কারণে মাঝরাস্তায় আটকে যায় তাদের গাড়ি। সেই ভিড়ের মধ্যেই নীতাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন মুকেশ। এরপর নীতা উত্তর না দেওয়া পর্যন্ত তিনি গাড়ি চালাননি। নীতা ‘হ্যাঁ’ বলতেই আবার গাড়ি চালাতে শুরু করেন তিনি। তারপর খুব তাড়াতাড়িই তাদের চার হাত এক হয়ে যায়।