১৯৭০ এর দশকে বলিউড এবং টলিউডে (Tollywood) সমানতালে অভিনয় করে দারুণ খ্যাতি পেয়েছিলেন অভিনেত্রী মৌসুমী চ্যাটার্জি (Mousumi Chatterjee)। অমিতাভ বচ্চন, জিতেন্দ্র থেকে শুরু করে মহানায়ক উত্তম কুমার, তাবড় তাবড় সুপারস্টারদের বিপরীতে তার অভিনয় ছিল মনে রাখার মত। এহেন অভিনেত্রী গত এক দশক যাবত আর ক্যামেরার সামনে আসেননি। তবে ৯ বছর পর নাকি তিনি আবার টলিউডে কামব্যাক করতে চলেছেন। এই খবরে বেশ খুশি মৌসুমীর ভক্তরা।
মৌসুমী চ্যাটার্জিকে শেষবার ‘গয়নার বাক্স’ ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল। তাও সেই ২০১৩ সালে। তারপর থেকে আর ক্যামেরার সামনে আসেননি তিনি। এর কারণ হিসেবে সংবাদমাধ্যমের কাছে বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন ছবি করার জন্য মনের মত চিত্রনাট্য পাচ্ছেন না তিনি। ‘কিশমিশ’ এর পর রাহুল মুখোপাধ্যায় এবার তার নতুন ছবি ‘দিলখুশ’ আনার পরিকল্পনা করছেন। এই ছবির জন্য তিনি কাস্ট করতে চান টলিউডের বর্ষিয়ান অভিনেত্রীকে।
৭০-৮০ এর দশকের এই নায়িকা তবে কি তার মনের মত চিত্রনাট্যের সন্ধান পেলেন? সেই আশা কিন্তু দেখছে না টলিউড। সম্প্রতি আনন্দবাজারের কাছে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মৌসুমী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, “আমি হ্যাঁ বা না কোনওটাই রাহুলকে এখনও জানাইনি। তবে চিত্রনাট্য পড়ে খুব মুগ্ধ হইনি। তা-ও জানিয়েছি রাহুলকে। আমার কথা মতো ও চিত্রনাট্যেও কিছুটা পরিবর্তন করে। ভালই লিখেছে, তবে এখনও খুব ভাল লাগেনি সবটা।’’
চিত্রনাট্যে এমন কি আছে যা মৌসুমীর অপছন্দ? আদতে এই ছবিতে বয়স্ক দুই চরিত্রের লিভ ইন দেখানো হতে চলেছে। সমাজে এমন বার্তা দিতে আপত্তি রয়েছে মৌসুমীর। তার বক্তব্য, “এই ছবির মাধ্যমে দর্শককে রাহুল যে বার্তা দিতে চাইছে, তার সঙ্গে আমি সহমত নই। এক জন ৬৫ বছরের বৃদ্ধা এবং ৭০ বছরের বৃদ্ধের লিভ-ইনের কাহিনি। এই গল্প দর্শককে বলতে আমার মন সায় দিচ্ছে না। ‘গয়নার বাক্স’-এর পরে এখনও পর্যন্ত পছন্দসই কোনও চিত্রনাট্য পাইনি। টাকা আমার কাছে বড় বিষয় নয়। ছবিতে হয় পুরো বিনোদন হবে, নয়তো কোনও সুস্থ বার্তা, এটুকুই চাই।”
মৌসুমী বলেছেন তিনি এখনও টলিউডে কাজ করতে চান। তিনি আরও বলেছেন, “আমার নতুনদের সঙ্গে কাজ করতে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু এখন যদি গল্পে বলা হয়, এক জন বয়স্ক মহিলার যাঁর নাতনি হয়ে গিয়েছে, সে নাকি এখন লিভ-ইন করছে, ছবির চরিত্র হয়ে এমন বার্তা আমি দিতে পারব না।” সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। রাহুলের এই ছবিতে সোহম মজুমদার ও মধুমিতা সরকারের জুটি দেখা যাবে। অন্যদিকে মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় রাজি না হলে হয়তো শেষমেষ চরিত্রে মুখ বদল ঘটানো হবে।