ফুটপাথ থেকে উঠে বলিউডের (Bollywood) মহাগুরু হয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী। একসময় একটু সুযোগের আশায় বলিউডের প্রযোজক-পরিচালকদের দরজায় দরজায় ঘুরেছেন তিনি। পরে তিনিই সেই বলিউড ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম নামী অভিনেতা হয়ে ওঠেন। অভিনেতা, প্রযোজক, সমাজসেবী, টেলিভিশনের রিয়েলিটি শোয়ের জাজ থেকে শুরু করে ব্যবসা, রাজনীতি, সবটাই সামলাচ্ছেন মিঠুন চক্রবর্তী।
যত বড় সুপারস্টার, তাকে নিয়ে গসিপও তত বেশি। মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়েও বলিউডে এমনই অনেক জল্পনার প্রচলন রয়েছে। একসময় সারিকা থেকে শ্রীদেবী (Sridevi), বলিউডের তাবড় তাবড় সুন্দরীরা ছিলেন তার ফ্যান। তবে মিঠুন চক্রবর্তী বিয়ে করেছিলেন সেই সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী যোগিতা বালিকে (Yogita Bali)। তবে বিয়ের আগে কিংবা পরেও মিঠুনের জীবনে বলিউড সুন্দরীরা বারবার প্রেম নিয়ে এসেছেন।
১৯৭৯ সালে মিঠুন যখন বলিউডে কেরিয়ার শুরু করছেন তখন সারিকার সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। কিন্তু সেই সম্পর্ক খুব বেশিদিন এগোয়নি। মিঠুন এরপর ৭০ এর দশকের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির তারকা হেলেনাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। একটি সাক্ষাৎকারে হেলেনা জানিয়েছিলেন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বুঝিয়ে হেলেনাকে বিয়ের জন্য রাজি করিয়েছিলেন মিঠুন। কিন্তু দুর্ভাগ্য, ৪ মাস পরেই সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়।
হেলেনার সঙ্গে বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর যোগিতা বালিকে বিয়ে করেন মিঠুন। এরপরেও মিঠুন এবং শ্রীদেবীর সম্পর্ক নিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে গুজব রটে যায়। সে কথা মিঠুনের স্ত্রী যোগিতার কানেও পৌঁছেছিল। শ্রীদেবী এবং মিঠুনকে নিয়ে যথেষ্ট সচেতন হয়ে পড়েন যোগিতা। এমনকি তিনি মিঠুনকে হুমকিও দেন যদি শ্রীদেবীর সঙ্গে তিনি সম্পর্ক রাখেন তাহলে যোগিতা আত্মহত্যা করবেন।
সেই সময়ের সংবাদ মাধ্যমগুলিতেও শ্রীদেবী এবং মিঠুনের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। এই নিয়ে যোগিতাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি অবশ্য একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “ওর দ্বিতীয় স্ত্রীকেও আমি মেনে নেব”। তবে বাস্তবটা ছিল একেবারেই আলাদা। যোগিতা এবং মিঠুনের সম্পর্কের মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়াতে চাননি শ্রীদেবী নিজেই। তিনিই নাকি সম্পর্ক থেকে সরে আসেন।
বলিউডে গুঞ্জন, শ্রীদেবী নাকি যোগিতা এবং মিঠুনের বিয়ের ব্যাপারে কিছুই জানতেন না। যখন তিনি জানতে পারেন তখন মিঠুনের থেকে দূরে সরে আসেন। অবশ্য এই গুঞ্জনের সত্য-মিথ্যা নিয়েও অনেকে সন্দেহ করে থাকেন। যাই হোক, অবশেষে ১৯৮৮ সালে শ্রীদেবী এবং মিঠুনের পাকাপাকিভাবেই বিচ্ছেদ হয়ে যায়। মিঠুন আবার তার স্ত্রী যোগিতার কাছেই ফিরে আসেন। এরপর অবশ্য মিঠুন-যোগিতার বিবাহিত জীবনে আর কোনও সমস্যা হয়নি।