মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) এবং যোগিতা বালি (Jogita Bali), বলিউডের পাওয়ার কাপল বলা যেতে পারে তাদের। দীর্ঘ বেশ কয়েক দশকের সংসার তাদের। মিঠুন-যোগিতার বিয়ের পর একাধিক বিষয়কে কেন্দ্র করে তাদের বিয়ে ভাঙতে বসেছিল বলে বহুবার খবর রটে যায় বলিউডে (Bollywood)। তবে সব জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে তিন পুত্র এবং এক কন্যা সন্তানকে নিয়ে আজও একে অপরের পাশে রয়েছেন মিঠুন ও যোগিতা।
তবে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মাঝে ঝগড়া-অশান্তি, ঝুট-ঝামেলা তো লেগেই থাকে। বলিউডের এই সেলেব দম্পতিও তার ব্যতিক্রম ছিলেন না। যোগিতার সঙ্গে কেমন ছিল দাম্পত্য? এই বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন মিঠুন চক্রবর্তী নিজেই। মহাগুরুর বক্তব্য শুনে চমকে উঠছেন ভক্তরা। কারণ যোগিতা নাকি তাকে বেশ কয়েকবার বাড়ি থেকে ‘লাথি মেরে’ বের করে দেন।
একবার নয়, দুইবার নয়, পরপর তিনবার নাকি বউ তাকে ‘লাথি মেরে’ বাড়ি থেকে বের করে দেন। নিজের মুখে এই বিবৃতি দিয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী। তারপর অবশ্য তিনি শুধরে নিয়ে বলেন, ’লাথি মেরে মানে বাড়ির বাইরে বের করে দিয়েছিল’। মিঠুন জানান তখন তিনি ছিলেন মেগাস্টার। অথচ তিনি বুঝে উঠতে পারছিলেন না কোথায় যাবেন।
কোথায় যাবেন, কী করবেন কিছু বুঝে উঠতে না পেরে শেষমেষ বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মহাগুরু। এদিকে বাসস্ট্যান্ডের আশেপাশের মানুষেরা তাকে দেখে ভাবছেন সত্যিই মিঠুন চক্রবর্তীই কি তাদের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন! পরে অবশ্য যোগিতা নিজে এসে তাকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। একঘন্টা পরই তার সমস্ত রাগ গলে জল হয়ে গিয়েছিল।
আগামী ২৫শে ডিসেম্বর বড়দিন উপলক্ষে মুক্তি পেতে চলেছে মিঠুন চক্রবর্তী, দেব, মমতা শংকর, কনীনিকা ব্যানার্জী, শ্বেতা ভট্টাচার্য অভিনীত ছবি প্রজাপতি। আপাতত দেব এবং মিঠুন মিলিয়ে জমিয়ে এই ছবির জন্য প্রচার চালাচ্ছেন। প্রজাপতি গল্পে দেখানো হবে ছেলেকে বিয়ে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন বাবা। বাস্তবেও কিন্তু দেবের হাল কিছুটা এরকমই। তার বাবা-মা তার বিয়ে দিতে চান, মিঠুনও বলে বলে হয়রান। এমনকি রুক্মিণী নিজেও নাকি দেবকে নিয়ে অনুযোগ করেছেন মিঠুনের কাছে।
মিঠুন এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “সিনেমা একবার মুক্তি পাক না, লাঠি নিয়ে ওর পেছনে পড়ে যাব। ওর ভয় যে, ও স্টার তাই বিয়ে করলে স্টারডম চলে যাবে। আমি ওকে বোঝাই আমাকে দেখ আমি তো বিয়ের পর স্টার হয়েছি।” দেব মশকরা করে বলেন, “সবাই তো যোগিতা বালি পায় না”। দেবকে সাবধান করে মিঠুন বলেন, “আজ তোর মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী”। দেব মজা করে উত্তর দেন, “আমাকেও বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়াতে হবে”।