শুধু টলিউড (Tollywood) নয়, বলিউড (Bollywood) ইন্ডাস্ট্রির একজন সুপারস্টার হলেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। ৮০ এর দশকে বাংলা থেকে হাতেগোনা যে কজন বলিউড ইন্ডাস্ট্রি কাঁপিয়েছিলেন তাদের মধ্যে একজন উজ্জ্বলতম তারকা ছিলেন তিনি। আজ তার অনেক খ্যাতি, অনেক প্রতিপত্তি। কিন্তু তার ফেলে আসা দিনগুলো কিন্তু কম কষ্টের ছিল না।
বাংলা থেকে যেদিন মুম্বাইতে গিয়ে নিজের স্বপ্নপূরণ করতে চেয়েছিলেন মিঠুন সেদিন থেকেই কার্যত শুরু হয় তার স্ট্রাগল। সেদিন নিজের পরিবারকেও পাশে পাননি তিনি। ছেলে অভিনয় করবে, মুম্বাই যাবে, মেনে নিতে পারেননি মিঠুন চক্রবর্তীর বাবা। ডান্স বাংলা ডান্সের (Dance Bangla Dance) মঞ্চে পুরনো দিনের স্মৃতি হাতড়ে মিঠুন শোনালেন তার অতীত।
এদিন ডান্স বাংলা ডান্সের এক ছোট্ট প্রতিযোগীর পারফরম্যান্স কার্যত মঞ্চে উপস্থিত সকলের চোখ ভিজিয়ে দিয়েছিল। দেব-মিঠুন অভিনীত ছবি ‘প্রজাপতি’ থেকে ‘বাবা তুমি আমার হিরো’ গানের উপর নাচের পারফরম্যান্স ছিল ওই খুদের। নাচের পর কান্নায় ভেঙে পড়ে সে। তার নাচ দেখে শুভশ্রী, শ্রাবন্তী, বিশেষ অতিথি দেবশ্রী রায়ের চোখেও এদিন জল এসে যায়।
এদিন এই আবেগঘন মুহূর্তে মিঠুন চক্রবর্তী ছোট্ট এই প্রতিযোগীর কান্না সামলাতে বলেন, “শিল্পীরা ইমোশনাল হয় না। অন্যদের ইমোশনাল করে।” তবে এদিন এই নাচ দেখে মিঠুনেরও নিজের বাবার কথা মনে পড়ে গিয়েছিল। তিনি ছিলেন কলকাতার এক মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে। তার পরিবার কখনও চাননি ছেলে অভিনয় জগতে আসুক।
মিঠুন বাড়ি ছেড়ে মুম্বাই গিয়েছিলেন নায়ক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে। তার বাবা তার ওপর এতটাই রেগে গিয়েছিলেন যে তিনি তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এমনকি তিনি তাকে খেতেও দেননি। তবে আজ এই পর্যায়ে এসে মিঠুন তার বাবাকে ধন্যবাদ জানান। কারণ তিনি যদি সেদিন তাকে বাড়ি থেকে বের না করে দিতেন তাহলে আজ সুপারস্টার হতে পারতেন না তিনি।
অতিথি বিচারক দেবশ্রী রায়েরও এদিন তার মায়ের কথা মনে পড়ে গিয়েছিল। তিনি কয়েক মাস আগেই নিজের মাকে হারিয়েছেন। নাচটা দেখে আর গান শুনে তার মায়ের কথাই মনে পড়েছে বারবার। মিঠুন আর দেবশ্রী দুজনেই ছোট্ট ওই প্রতিযোগীর নাচের দারুণ প্রশংসা করেছেন।