বয়স মাত্র ৫ বছর! অথচ এই বয়সেই মিঠাইয়ের ছেলে শাক্যের মধ্যে যে যে গুণ আছে তা হাতে গুনে শেষ করা যাবে না। বর্তমানে তাকে জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় মিঠাই (Mithai) সিরিয়ালে খুদে অভিনেতার চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে। ছোট্ট শাক্যকে দেখলেই নাকি মায়া পড়ে যায় মিঠাই ভক্তদের। তবে তার গলার গান শুনলে মুগ্ধ হতে হবে। বাস্তবে শাক্য ওরফে ধৃতিষ্মান চক্রবর্তী (Dhritishman Chakraborty) এত সুন্দর গান গায় না শুনলে বিশ্বাসই করতে পারবেন না।
সিড এবং মিঠাইয়ের অনস্ক্রিন ছেলে শাক্য বাস্তবে কিন্তু এই বয়সেই সুপারস্টার। তার বয়স যখন আরও কম ছিল তখন থেকেই আধো আধো গলায় গান শুনিয়ে নেটিজেনদের চমকে দিয়েছিল সে। মাত্র পাঁচ বছর বয়সেই ৫ টি আলাদা আলাদা ভাষায় গান গেয়ে সে রেকর্ড করে ফেলেছে। অসমীয়া, বাংলা, হিন্দি, ইংরেজি এবং সংস্কৃত ভাষাতে এতটুকু বয়সে তার মত গান গাইতে পারেনি আর কোনও বাচ্চা।
এত ছোট বয়সেই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নিজের নাম তুলে ফেলেছে ধৃতিষ্মান। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির থেকে সরাসরি প্রশংসাও পেয়েছে সে। ২০২১ সালে তাকে রাষ্ট্রীয় বাল পুরস্কারে ভূষিত করার সময় সোশ্যাল মিডিয়াতে খোদ প্রধানমন্ত্রী তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন। বর্তমানে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে ধৃতিষ্মানকে। তবে গানটা কিন্তু সে এখনও ধরে রেখেছে।
পর্দাতে না হলেও বিহাইন্ড দ্য সিন সিদ্ধার্থ ওরফে আদৃতের সঙ্গে মাঝে মাঝেই গানের আড্ডা দেয় ধৃতিষ্মান। এছাড়া ফেসবুকে এখনও মায়ের সঙ্গে গানের চর্চা চলে তার। আসলে এই ফেসবুকের দৌলতেই রাতারাতি গান গেয়ে বিখ্যাত হয়েছিল ছোট্ট ধৃতিষ্মান। এখান থেকেই তার পথ চলা শুরু হয়েছিল। এখন ব্যস্ততম শুটিং শিডিউল থেকে একটু সময় সুযোগ হলেই মায়ের সঙ্গে গান গাইতে বসে যায় ধৃতিষ্মান।
সম্প্রতি ধৃতিষ্মানের ফেসবুক পেজ থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছিল। ওই ভিডিওতে একটি বাংলা গান গাইতে শোনা যাচ্ছে খুদে গায়ককে। পাশে বসে তার মা গিটার বাজাচ্ছেন। আর সে হাত নেড়ে নেড়ে গাইছে, ‘কি নামে ডেকে, বলব তোমাকে’! তার গান শুনে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছেন নেটিজেনরা। ভিডিওর কমেন্ট বক্সে উপচে পড়ছে প্রশংসা। মা-ছেলের যুগলবন্দী শ্রোতাদের মন ভরিয়ে দিয়েছে।
এই খুদের মধ্যে এত গুণ দেখে রীতিমত অবাক সকলে। সোশ্যাল মিডিয়াতে তার নামে যে পেজটি রয়েছে সেখানে তার এমন বিভিন্ন গান এবং ইন্টারভিউয়ের ভিডিও রয়েছে। ধৃতিষ্মানের মা নিজেও একজন গায়িকা। ছেলে গানের হাতেখড়ি প্রথম তার মায়ের কাছেই নিয়েছে। এখন সারা বাংলার মানুষ তার গান শুনছেন, প্রশংসা করছেন। মিঠাইতে খুদে অভিনেতা হয়ে আসার পর তার জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে।