এই মুহূর্তে বেঙ্গল টপার হল জি বাংলার (Zee Bangla) জগদ্ধাত্রী সিরিয়ালটি। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই জগদ্ধাত্রী বাংলা সিরিয়ালের মধ্যে সেরার সেরা আসন দখল করে রয়েছে। অন্যদিকে জি বাংলার মিঠাই (Mithai) সিরিয়ালটি একসময় টানা ৫৬ বার টপারের আসন দখল করতে পারলেও এখন টিআরপিতে তেমন ভাল সাড়া পাচ্ছে না। তবে মিঠাই কিন্তু এখনও একের পর এক রেকর্ড গড়ে চলছে।
টানা ৫৬ বার বেঙ্গল টপার হওয়াটাও ছিল একটা রেকর্ড। জনপ্রিয়তার নিরিখে মিঠাই হালফিলের সিরিয়ালগুলি থেকে অনেকখানিই এগিয়ে। টিআরপি দিয়ে যে বাংলা সিরিয়ালের প্রতি দর্শকদের আগ্রহের বিচার করা যায় না মিঠাই তার প্রমাণ। এবার বাংলা সিরিয়ালের মধ্যেই মিঠাই একটি নতুন রেকর্ড করে ফেলল। পছন্দের সিরিয়ালের এই সাফল্যে দারুণ খুশি হলেন ভক্তরা।
প্রায় ২ বছরের কাছাকাছি সগর্বে চলছে মিঠাই। স্টার জলসা এবং জি বাংলাতে কিন্তু এমন অনেক সিরিয়াল রয়েছে যেগুলো মাত্র তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যেই বন্ধ হয়েছে। মিঠাইয়ের জনপ্রিয়তাই সিরিয়ালটিকে এতদূর অব্দি গড়িয়ে নিয়ে এসেছে। মিষ্টি প্রাণবন্ত স্বভাবের মেয়ে মিঠাইয়ের সঙ্গে গুরুগম্ভীর উচ্ছের মত তিতকুটে স্বভাবের সিদ্ধার্থের কেমিস্ট্রিটা বেশ মনে ধরে দর্শকদের।
মিঠাই সিরিয়ালটি দর্শকদের এত ভাল লাগার পেছনে রয়েছে বেশ কিছু কারণ। যেমন এই সিরিয়ালটিতে নেই কোনও কুটকাচালি, কিংবা পারিবারিক অশান্তি। সম্পূর্ণ পারিবারিক একটি গল্পও যে এই যুগে দর্শকদের এত মনে ধরতে পারে মিঠাই তা প্রমাণ করে দিয়েছে। এই অভিনবত্বের গুণেই মিঠাই সিরিয়ালটি একের পর এক রেকর্ড গড়ে চলেছে।
মিঠাই সিরিয়াল এবং এর কলাকুশলীরা এই ধারাবাহিকের সুবাদে অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। সৌমিতৃষা কুন্ডু, আদৃত রায়রা অনেক বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন এখান থেকে। সেই সঙ্গে সেরা অভিনেতা, সেরা অভিনেত্রী বিভাগে পুরস্কার ওঠে তাদের ঝুলিতে। এবার যেমন মিঠাই ধারাবাহিকের জন্যেই আরও একটা দারুণ পুরস্কার পেলেন সৌমিতৃষা। তার হাত ধরে জি বাংলাও পেল সেরা সম্মান।
View this post on Instagram
সম্প্রতি ওরম্যাক্স মিডিয়ার তরফ থেকে বাংলা ভাষায় কোন কোন ভারতীয় ধারাবাহিকের চরিত্র সবথেকে জনপ্রিয় তার একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। এর মধ্যে মিঠাই পেয়েছে সবার প্রথম আসনটি। ১৯ বারেরও বেশি এই খেতাব জয় করেছে মিঠাই। মিঠাইয়ের অনুরাগীরা তো এতে দারুণ খুশি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জগদ্ধাত্রী। তৃতীয় স্থানে গাঁটছড়ার খড়ি, চতুর্থ স্থানে নবাব নন্দিনীর নন্দিনী এবং পঞ্চম স্থানে আলতাফড়িংয়ের ফড়িং রয়েছে তালিকায়।