মিঠিকে মনোহরাতে পাঠিয়েছিল মিঠাই! ফাঁস হল মিঠাইয়ের নতুন টুইস্ট, তোলপাড় নেটপাড়া

বর্তমানে জি বাংলার (Zee Bangla) অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল মিঠাই (Mithai)। বিগত প্রায় দুই বছর ধরে এই ধারাবাহিকটির সম্প্রচার হচ্ছে। বাংলা টেলিভিশনের ইতিহাসে বর্তমানে মিঠাই সবথেকে পুরনো ধারাবাহিক। স্লট হারালেও মিঠাই কিন্তু জনপ্রিয়তা হারায়নি। পরিবর্তিত স্লটেও মিঠাই বেশ ভাল ফলাফল করছে টিআরপিতে। খুব শীঘ্রই এই ধারাবাহিকের টিআরপি বাড়তে পারে বলে মনে করছেন দর্শকরা।

বিগত প্রায় তিন মাস পর আবার ধারাবাহিকে ফিরছে মিঠাই। তিন মাস আগে গল্পের একটি নতুন ট্র্যাকে মিঠাইয়ের মৃত্যু দেখানো হয়েছিল। তার বদলে গল্পে এসেছিল মিঠি নামের একটি মেয়ে যে হুবহু মিঠাইয়ের মত দেখতে। দর্শকরা অনুমান করেছিলেন এই মেয়েটি আসলে মিঠাই। তবে ধারাবাহিকের নতুন প্রোমো আসতেই সেই সন্দেহ দূর হয়ে গেলে।

mithai misti

মিঠাইয়ের নতুন প্রোমোতে দেখানো হয়েছে মিষ্টি নামের একটি ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে গল্পে ফিরে এসেছে মিঠাই। মিঠাইকে এইভাবে গল্পে ফিরতে দেখে সোশ্যাল মিডিয়াতে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। মিঠাই এতদিন কোথায় ছিল? এই ছোট্ট মেয়েটি আসলে কে? এমনই সব প্রশ্ন দানা বাঁধছে দর্শকদের মনে। কেউ কেউ আবার মনে করছেন এই মেয়েটি আসলে সিদ্ধার্থ-মিঠাইয়েরই মেয়ে।

নতুন প্রোমো আসার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়াতে নানা জল্পনা চলছে। কেউ বলছেন, “আমার মনে হচ্ছে মিঠাই যখন মারা যায় আগুনে পুড়ে তখন ও প্রেগনেন্ট ছিল। সিড-মিঠাই স্বামী-স্ত্রী, কখন কি হয়ে গেছে বলা যায় না। তারপর ও কোনওভাবে বেঁচে যায় আর মিঠির বাবা ওকে আশ্রয় দেয়। তারপর ওর বেবি হয়, ও মোদক পরিবারকে ভুলে মিষ্টিকে নিয়ে থাকতে চায়।”

mithai

এখন যেহেতু মিঠি মিঠাইয়ের মত দেখতে তাই মিঠাই তাকে অনুরোধ করে মোদক বাড়িতে পাঠিয়েছে বলে মনে করছেন ওই দর্শক। যাতে শাক্য ভাল থাকে। অর্থাৎ মিঠাই-ই মিঠিকে পাঠিয়েছিল মোদক বাড়িতে। এদিকে মিঠাই ফিরে এলে মিঠির কী হবে সেই নিয়ে সন্দেহ দেখা দিচ্ছে দর্শকদের মনে। অনুমান করা হচ্ছে, মিঠি হয়ত এবার বিদায় নেবে।

mithai

যদিও দর্শকরা মিঠিকে এত সহজে হারাতে রাজি নন। তাই কেউ কেউ অনুমান করছেন মিঠাই ফিরে এলে মিঠিই হয়ত এবার ভিলেন হয়ে উঠবে। সে সহজে সিদ্ধার্থ এবং শাক্যকে ছেড়ে দেবে না। মিঠি এবার হয়ে উঠবে মিঠাইয়ের সর্বশ্রেষ্ঠ ভিলেন। তবে কেউ কেউ এখনও দ্বিমত পোষণ করে বলছেন মিঠিই আসলে মিঠাই। নতুন যাকে মিঠাই হিসেবে দেখানো হচ্ছে সে আসলে প্লাস্টিক সার্জারি করিয়ে আসছে।