বাংলা টেলিভিশনে একটি জনপ্রিয় শো হলো জি বাংলা (Zee Bangla) -র দিদি নম্বর ওয়ান (Didi No One)। আট থেকে আশি সবাই এই অনুষ্ঠানটি দেখতে পছন্দ করেন। রচনা ব্যানার্জী (Rachna Banerjee) -র সঞ্চালনায় যেন অনুষ্ঠানটি আরও অন্যরকম একটি প্রাণ পায়। এখানে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সেলিব্রিটিরাও খেলতে আসেন। আর এরকমই এদিন দিদি নম্বর ওয়ানের মঞ্চে এসে অসুস্থ হয়ে পড়লেন এক অভিনেত্রী।
১৪ অগাস্ট দিদি নম্বর ওয়ানের শ্যুটে গিয়েছিলেন আঁচল (Aanchal) ও আলতা ফড়িং (Aalta Phoring) খ্যাত অভিনেত্রী মিষ্টি সিং (Misty Singh)। আর সেখানে গিয়ে তিনি আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারপরেই কোনো রিস্ক না নিয়ে অভিনেত্রীকে বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে তার স্বামী রেমো। যদিও এখন তিনি অনেকটাই সুস্থ আছেন। ইতিমধ্যেই তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তার সুস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছেন।
প্রায় ১৪ বছরের প্রেম রেমোর সঙ্গে মিষ্টির। যদিও এত দিনের এই সম্পর্কের কথা লোকচক্ষুর আড়ালেই রেখেছিলেন অভিনেত্রী। শহরের এক বিলাসবহুল হোটেলে বসেছিল মিষ্টি ও রেমোর বিয়ের আসর। যা সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হয়। বিয়ের পর হানিমুন সেরে কয়েক দিনের মধ্যেই আবার ফিরেছিলেন শুটিং ফ্লোরে।
আর এর মধ্যেই এদিন আরও কয়েকজন অভিনেত্রীর সঙ্গে দিদি নং ওয়ানের সেটে খেলতে হাজির হয়েছিল টেলিভিশনের পরিচিত মুখ মিষ্টি সিংহ। তবে তিনি ‘দিদি নম্বর ১’এর শুটিং-এ গিয়েছিলেন গায়ে জ্বর নিয়েই। আর শুটিং ফ্লোরে বাড়ে অসুস্থতা। জানা গেছে ১০৩-এর ওপর চলে গিয়েছিল তাপমাত্রা। তার সঙ্গে ছিল কাশির উপদ্রব। এমনকি ওষুধেও কাজ হয়নি।
শেষমেশ বাইপাস সংলগ্ন একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে স্যালাইন চলার পর আগের চেয়ে কিছুটা সুস্থ বোধ করলেও শরীর খুব দুর্বল রয়েছে বলে জানিয়েছেন মিষ্টি। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন ভাইরাল ফিভারে আক্রান্ত অভিনেত্রী। তবে স্বামী রেমোরও আগের সপ্তাহে ঠিক এরকমই অসুস্থতা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন মিষ্টি। তাকেও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন : ‘একটা সিরিয়াল করেই হিট, একটুও ধৈর্য নেই!’ কাকে বিঁধলেন রচনা ব্যানার্জী?
এদিন নিজের অসুস্থতা নিয়ে মিষ্টি সিং জানিয়েছেন, “আমি শুটিং করছিলাম ‘দিদি নম্বর ১’-এর। গায়ে জ্বর ছিল। কিন্তু শুটিং করতে করতে জ্বর অনেকটাই বেড়ে যায়। ওষুধ খেয়েও কমছিল না। তখন আমার স্বামী রেমো এবং দিদি, দু’জনে মিলে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিছুতেই কমছিল না। হাসপাতালে স্যালাইন দেওয়ার পর কিছুটা ভাল লাগছে। তবে বেশ দুর্বল। জ্বরটা অনেকটা কমেছে। খাওয়া দাওয়া স্বাভাবিক।”
আরও পড়ুন : দর্শকদের দাবিই শেষ কথা! রাতারাতি বদলে গেল ‘কার কাছে কই মনের কথার গল্প’