

বলিউডের প্রয়াত গায়ক কেকে (K K) সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করে প্রতিনিয়ত কটাক্ষে সম্মুখীন হতে হচ্ছে রূপঙ্কর বাগচীকে (Rupankar Bagchi)। স্রেফ সাধারণ জনতা শুধু নয়, বাংলা সংগীত মহলের শিল্পীরাও কেউ রূপঙ্করের পাশে নেই। এমনকি গায়ক তার যে সহযোদ্ধাদের কথা উল্লেখ করেছিলেন, যাদের হয়ে সওয়াল করেছিলেন তারাও তার মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন প্রকাশ্যে।
এমতাবস্থায় বিগত কয়েক ঘন্টায় সোশ্যাল মিডিয়াতে রূপঙ্কর বাগচীকে কেন্দ্র করে রীতিমত ঝড় বয়ে যাচ্ছে। ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে শেষমেষ সাংবাদিক বৈঠক ডেকে ক্ষমাও প্রার্থনা করলেন তিনি। কেকের সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করে কেবল নিজের সমস্যাই ডেকে আনেননি, কলকাতার বিশিষ্ট কেক প্রস্তুতকারক সংস্থা মিও আমোরেও (Mio Amore) এই মুহূর্তে প্রবল কটাক্ষের সম্মুখীন।
রূপঙ্কর বাগচী মিও আমোরে সংস্থার ‘জিঙ্গেল’ গেয়েছিলেন। রূপঙ্করের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতে এই সংস্থাকেও বারবার ট্রোল হতে হচ্ছে। এমনকি নেটিজেনরা সরাসরি এই সংস্থাকে হুমকি দিচ্ছেন রূপঙ্করের গাওয়া বিজ্ঞাপনী প্রচারমূলক গান সরিয়ে না নিলে সংস্থার বাণিজ্যে আঘাত পড়বে। শেষমেষ এই বিষয়ে লিখিত ভাবে বয়ান দিল মিও আমোরে সংস্থা।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে সংস্থার তরফ থেকে লিখিতভাবে জানানো হল, ‘‘গায়ক রূপঙ্কর বাগচীর মন্তব্যে আমরা দুঃখিত। রূপঙ্কর বাগচী যা বলেছেন, তার সঙ্গে আমরা সহমত পোষণ করি না। ক্রেতাদের অনুভূতিকে মাথায় রেখে ব্র্যান্ড জিঙ্গল নিয়ে আমরা যথাসময়ে সিদ্ধান্ত নেব।’’ আনন্দবাজার অনলাইনকেও এই সংস্থা জানিয়েছে এই বিষয়ে সংস্থার যা অবস্থান তা সোশ্যাল মিডিয়াতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কেকের মৃত্যুর কয়েক ঘন্টা আগে ফেসবুক লাইভে এসে রূপঙ্কর বাগচী প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘হু ইজ কেকে?’ কেকের জন্য যতখানি উন্মাদনা রয়েছে শহরবাসীর তার বিন্দুমাত্র বাঙালি গায়কদের অনুষ্ঠানে কেন দেখা যায় না? শুধু বলিউডের পেছনে না ছুটে বাঙালি গায়কদের পাশেও দাঁড়ানোর আবেদন রেখেছিলেন তিনি। তার এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে নেটিজেনরা বেজায় রেগে যান তার উপর। এর উপর আবার কেকের মৃত্যু তাকে মুহূর্তের মধ্যে ভিলেন করে তোলে কেকের ভক্তদের নজরে।