তিনি শুধু একজন অভিনেত্রী হিসেবে নন, একজন সাংসদও বটে। আবার তিনি গায়িকাও। মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty) শুধু বাংলা সিনেমা নয়, প্রভাব বিস্তার করেছেন ওয়েব সিরিজেও। কাজ করছেন হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও। কিন্তু এত ব্যস্ততার মধ্যেই হঠাৎ মিমি জানালেন, তার অসুস্থতার কথা। বললেন, এইভাবে বেঁচে থাকা যায় না। কিন্তু কেন এমন কথা বললেন তিনি? কোন অসুস্থতার কথা ভাগ করে নিলেন মিমি?
ভীষণ ব্যস্ত মিমি
বছরের শুরুতেই বেনারসে বেড়াতে গিয়েছিলেন মিমি। দিন কয়েক আগেই নতুন গান রিলিজ হয়েছে তার। এর মাঝেই হইচইতে মুক্তি পেয়েছে প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘যাহা বলিব সত্য বলিব’। সত্য ঘটনার অবলম্বনে এই ওয়েব সিরিজটিতে মিমির বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন টোটা রায়চৌধুরী। এর মধ্যেই আবার রয়েছে চল্লিশের লোকসভা নির্বাচন। সব মিলিয়ে এখন ভীষণ ব্যস্ত অভিনেত্রী।
এমনিতে ঘরকুনো মিমি। প্রয়োজন ছাড়া খুব একটা বাড়ি থেকে বের হন না তিনি। টলিউডের কোনও পার্টিতেও সেই ভাবে দেখা পাওয়া যায় না তার। তবে সম্প্রতি শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং নন্দিতা রায়ের ‘রক্তবীজ’ সিনেমার ১০০ তম দিন অতিক্রম করার খুশিতে অনুষ্ঠিত পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন মিমি। এই সিনেমায় আবির চট্টোপাধ্যায়ের বিপরীতে অফিসার সংযুক্তার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তিনি।
সোশ্যাল মিডিয়াতে অসুস্থতার খবর জানালেন মিমি চক্রবর্তী
সম্প্রতি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে জানিয়েছেন তার শরীর খারাপের কথা। গত শনিবার রাতে তিনি তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি আপডেট দেন। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, অভিনেত্রী সোফায় গা এলিয়ে বসে রয়েছেন। বুকের উপর রাখা একটি বামের কৌটো। মাথায় হাত দিয়ে রয়েছেন তিনি। চোখে মুখে স্পষ্ট শারীরিক অস্বস্তি। দেখেই মনে হচ্ছে তিনি ভীষণ ক্লান্ত।
মিমির শারীরিক অসুস্থতার কথা স্পষ্ট হয়ে যায় ছবির ক্যাপশন দেখে। অভিনেত্রী লিখেছেন, “মাইগ্রেন থেকে বাঁচা শুধু মুশকিলই নয়, একেবারে অসম্ভবও বটে।” এই কথা থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় মাইগ্রেনের ব্যথায় ভীষণ কষ্ট পাচ্ছেন অভিনেত্রী। নিজের এই কষ্টের কথাই সোশ্যাল মিডিয়ায় সকলের সঙ্গে শেয়ার করে নিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন : টলিউডে কোন নায়িকা কত পারিশ্রমিক পান? চমকে দেবে মিমি চক্রবর্তীর পারিশ্রমিক
আরও পড়ুন : টলিউডের সবথেকে বেঁটে অভিনেত্রী কে? দেখে নিন টলিউড সুন্দরীদের কার উচ্চতা কত
প্রসঙ্গত, মাইগ্রেন একটি ক্রনিক রোগ। বংশ পরম্পরায় বা পরবর্তীকালে এই রোগ হতে পারে। এই রোগের মূল কারণ হলো অতিরিক্ত টেনশন, কাজের চাপ, দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকা, রোদে বা ঠান্ডায় বেশিক্ষণ থাকা। এই রোগের ফলে সাধারণত মাথা ব্যথা হয়। সহ্য হয় না আলো বা প্রবল আওয়াজ। স্বাভাবিকভাবেই এই রোগে আক্রান্ত হলে ভীষণ কষ্ট পায় মানুষ, যে কষ্ট এখন পাচ্ছেন মিমি।