সিনেমার পর্দা থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়া, সর্বত্র এখন শুধু ববি দেওলের জয়জয়কার। এত বছর পর নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ পেয়ে ববি দেখিয়ে দিয়েছেন, তিনি জাত অভিনেতা। Animal সিনেমায় মাত্র ২০ মিনিটের স্ক্রিন টাইমে নিজের সবটুকু উজার করে দিয়েছিলেন তিনি, আর তার প্রতিফলনই আমরা পেয়েছি সিনেমার পর্দায়। আজ আমরা জানবো ববির স্ত্রী তানিয়া দেওল সম্পর্কে বিস্তারিত।
তানিয়া বিখ্যাত বিজনেসম্যান দেবেন্দ্র আহুজার মেয়ে। দেবেন্দ্র আহুজা 20th Century Finance Company- এর MD হওয়ার পাশাপাশি সেঞ্চুরিয়ান ব্যাংকের প্রবর্তক। কোটিপতি ব্যবসায়ীর কন্যা তানিয়ারা তিন ভাই বোন। তানিয়ার ভাই এবং বোনের নাম বিক্রম এবং মুনীশা। মুম্বাইয়ে ৫০০০ ফুট জায়গা বিস্তৃত একটি জমকালো আবাসনে থাকতেন তানিয়া। ববি এবং তানিয়ার সাক্ষাৎ ঘটেছিল একটি অনুষ্ঠানে।
চাংকি পান্ডের বাড়িতে দীপাবলির একটি অনুষ্ঠানে প্রথম দেখা হয় ববি এবং তানিয়ার। তানিয়াকে দেখেই ববি তার প্রেমে পড়ে যান। সেদিন রাতে তানিয়া চলে যাওয়ার পর ববি তানিয়ার নম্বর জোগাড় করেন এবং তাকে ফোন করেন। প্রথমে ববিকে পাত্তা না দিলেও ধীরে ধীরে ববির সঙ্গে বন্ধুত্ব তৈরি হয় তানিয়ার, যা পরবর্তীকালে প্রেমে রূপান্তরিত হয়ে যায়। ১৯৯৬ সালে ৩০ মে ববিকে বিয়ে করেন তানিয়া।
ববি দেওলের সঙ্গে বিয়ের ঠিক পরে তানিয়ার বাবার একজন এয়ার হোস্টেসের সঙ্গে একটি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়, যার ফলে তানিয়ার বাপের বাড়িতে তৈরি হয় একটি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। তানিয়ার মা, ভাই এবং বোন বাবার সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ত্যাগ করে দেয়। সেই কঠিন সময়ে তানিয়া তার বাবার দেখাশোনা করেন এবং অন্যদিকে সেই সময় তানিয়ার বাবাও ববি দেওলকে আর্থিকভাবে সাহায্য করেছিলেন, যে সময় ববির ক্যারিয়ার ডুবে যাচ্ছিল।
আরও পড়ুন : রুপে লক্ষ্মী গুণে সরস্বতী, মুকেশ আম্বানির শালী আসলে কে? রইল তার আসল পরিচয়
২০১০ সালে আগস্ট মাসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তানিয়ার বাবা দেবেন্দ্র আহুজা। বাবার মৃত্যুর পর বাবার শেষ কাজ একাই করেছিলেন তানিয়া, ভাই বিক্রমকেও বাবার শেষকৃত্য সম্পন্ন করার অনুমতি দেননি তিনি। এই ঘটনার পর বিক্রম তানিয়া এবং ববির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছিলেন মিডিয়ার সামনে। সেই কঠিন সময়ে ববি তার স্ত্রীর পাশে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। তবে শুধু শেষকৃত্য সম্পন্ন নয়, বাবার সম্পত্তি থেকেও বেদখল হয়েছিলেন বিক্রম এবং মুনিশা। দেবেন্দ্র আহুজা মৃত্যুর আগেই তার সম্পত্তির প্রায় পুরোটাই লিখে দিয়েছিলেন মেয়ে তানিয়ার নামে।
আরও পড়ুন : রুপে লক্ষ্মী গুণে সরস্বতী, কোথায় হারিয়ে গেল ভারতের বিশ্বসুন্দরীরা
বাবার মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার সূত্রে ৩০০ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হন তানিয়া। তবে উত্তরাধিকার সূত্রে কোটি কোটি টাকার মালিক হলেও তানিয়া পেশাগতভাবে কিন্তু একজন ইন্টেরিয়ার ডিজাইনার। ‘জুরম’ এবং ‘নানহে জয়সালমীর’ সিনেমায় কস্টিউম ডিজাইন হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। গ্ল্যামার দুনিয়া থেকে তানিয়া দূরে থাকলেও যেকোনো অভিনেত্রীকে সৌন্দর্যের দিক থেকে ১০ গোল দিতে পারেন তিনি। বর্তমানে দুই সন্তান আয়ুষ্মান দেওল এবং ধরম দেওলকে নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত তানিয়া।
আরও পড়ুন : ‘বন্ধুর বউ চুরি’ করে বিয়ে, এবার হানিমুন! দেখুন পরম-পিয়ার মধুচন্দ্রিমার ছবি