‘কোথায় লেখা আছে বিয়ের পর মেয়েদেরই সংসারের দায়িত্ব নিতে হবে?’, অভিনেত্রীর মন্তব্যে তোলপাড় হল সোশ্যাল মিডিয়া

বাংলা সিরিয়ালের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মানালি দে (Manali Dey)। যাকে দর্শকরা ‘ধূলোকণা’ (Dhulokona) ধারাবাহিকের ফুলঝুরি নামেই চেনেন এখন। যদিও সিরিয়ালটি অবশ্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে বেশ কয়েক সপ্তাহ আগে। তবে অভিনেতা-অভিনেত্রীরা কার্যত বেশিরভাগ দর্শকদের কাছে তাদের চরিত্রের নামেই পরিচিত হন। তিনি বিয়ে করেছেন পরিচালক অভিমুন্য মুখার্জীকে। দু-বছরের বৈবাহিক জীবনে স্বামীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার।

বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী হওয়ার সুবাদে মানালি বরাবর ব্যস্ত থাকেন তার কাজ নিয়ে। সেই সঙ্গে তার স্বামী অভিমন্যুও নিজের কাজের জগতে দারুণ ব্যস্ত থাকেন। গত ২ বছরে তারা এত বেশি ব্যস্ত থেকেছেন যে সংসারটা সেভাবে গুছিয়ে করা হয়ে ওঠেনি। এমনকি ২ বছরে কোথাও ঘুরতেও যাননি তারা। দিদি নাম্বার ওয়ানে (Didi Number One) রচনা ব্যানার্জীর (Rachana Banerjee) কাছে সেই আক্ষেপ প্রকাশ করেন অভিনেত্রী।

বিয়ের পর দেখতে দেখতে দু’বছর পার হয়ে গিয়েছে, অথচ এখনও হানিমুন হল না। ব্যস্ততার মধ্যে থেকে একটু ফাঁকা সময় যদিও বা পাওয়া যায়, তো অভিমুন্য মানালিকে কেবল তার বাপের বাড়ি বোলপুর থেকে ঘুরিয়ে আনেন। তাই বরের ওপর বেজায় চটে রয়েছেন মানালি। তিনি দিদি নাম্বার ওয়ানের সেটে প্রতিজ্ঞা করে নেন যদি এই বছরেও তিনি তাকে কোথাও ঘুরতে না নিয়ে যান তাহলে তিনি একাই হানিমুনে বেরিয়ে পড়বেন!

রচনা ব্যানার্জীর সামনে মানালির হাঁড়ির খবর ফাঁস হয়ে যায়। দুই বছরে সংসারের এতটুকু কাজও নাকি তিনি করেননি। খুব সহজভাবেই পর্দার ফুলঝুরি বলে ওঠে, “এটা কোথায় লেখা আছে বিয়ে করলে একটা মেয়েকেই সব দায়িত্ব নিতে হবে?” মানালি জানিয়েছেন তার সংসারের সমস্ত দায়িত্ব রয়েছে শ্বশুর-শাশুড়ির উপরে।

manali dey

সেই সঙ্গে অভিনেত্রী আরও জানিয়েছেন ছুটির দিনে তিনি প্রতিদিন বেলা ১১ টার সময় ঘুম থেকে ওঠেন। সংসারের টুকটাক কাজ করে আর ফাঁকি দিয়েই চলে যাচ্ছে দিন। অভিনেত্রী আরও বলেছেন তার শ্বশুরবাড়িতে নাকি বাড়ির বউরা তেমন কোনও কাজই করেন না। সংসারে সমস্ত দায়িত্ব থাকে পুরুষ সদস্যদের উপর।

তবে মানালির এমন অকপট স্বীকারোক্তিতে তার উপর বেশ বিরক্ত হয়েছেন নেটিজেনরা। তাকে ‘নির্লজ্জ’ বলে বিঁধছেন অনেকেই। কেউ লিখছেন, “তুমি ঘুমাও আরও বেশি করে। ফালতু মেয়ে, বলতে লজ্জা করে না, ১১ টায় ঘুম থেকে উঠি!” কেউ কেউ আবার জানতে চাইছেন, “এমন শ্বশুরবাড়ি কোথায় গেলে পাওয়া যায়?”