কথায় আছে যিনি রাঁধেন তিনি চুলও বাঁধেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) কি রুটি বেলতেও পারেন? দিদি নাম্বার ওয়ানের (Didi Number One) মঞ্চে হাজির হয়ে সেটাই করে দেখালেন মমতা ব্যানার্জী। আজ ২১ শে ফেব্রুয়ারি দিদি নাম্বার ওয়ানের স্পেশাল এপিসোডের শুটিংয়ে হাজির হয়েছিলেন ‘বাংলার দিদি’। রিয়েলিটি শোয়ের মঞ্চে কী কী করলেন মমতা?
মমতার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় কারা ছিলেন?
এদিন দিদি নাম্বার ওয়ানের প্রতিযোগী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলীর স্ত্রী ডোনা গাঙ্গুলী, গায়িকা শ্রীরাধা বন্দোপাধ্যায়, অরুন্ধতী হোম চৌধুরীরা। তবে বিশেষভাবে নজর কাড়লেন মমতা ব্যানার্জী। এদিনের মঞ্চের বিশেষ অতিথি ছিলেন তিনি। রীতিমত গল্প, রসিকতা আর আড্ডার মেজাজে এদিন শুটিং করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা ব্যানার্জীকে নিয়ে কীভাবে হল দিদি নাম্বার ওয়ানের শুটিং
শুটিংয়ের জন্য এদিন ডুমুরজলা ইনডোর স্টেডিয়ামে বেলা ১২টা নাগাদ পৌঁছে গিয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জী। তিনি আসবেন বলে সকাল থেকেই কড়া প্রহরার বন্দোবস্ত ছিল শুটিং ফ্লোরের বাইরে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা তিনি শুটিং সেটেই ছিলেন। শুটিংয়ের ফাঁকে ডোনা অরুন্ধতী শ্রীরাধাদের সঙ্গে গল্প করে সময় কাটিয়েছেন তিনি।
দিদি নাম্বার ওয়ানের সেটে কী কী করেছেন মমতা ব্যানার্জী?
খেলার সময় প্রতিযোগীদের এদিন লুচির লেচি বেলা এবং ভাজার কথা ছিল। কিন্তু লুচি ফুলকো হবে কিনা সেই আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল প্রতিযোগীদের মনে। তাই শেষমেষ লুচির বদলে রুটি বেলার কথা বলা হয়। যদিও মমতা ব্যানার্জী আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি রুটি বেলতে পারবেন না। তার বদলে গাইবেন, নাচবেন, বাজাবেন, কবিতাও বলবেন!
এরপর মমতাকে বাদ দিয়েই বাকি প্রতিযোগীরা রুটি বেলার প্রতিযোগিতায় যোগ দেন। ডোনার বেলা রুটি গোলাকৃতিতে শ্রেষ্ঠ হয়। মমতা প্রতিযোগিতায় অংশ না নিলেও রচনা তাকে রুটি বেলার অনুরোধ জানালে তিনি তা ফেলতে পারেননি। তবে পাল্টা রচনাকেই বলেন, “আগে তুমি রুটি বেলে দেখাও!” দিদির কথা ফেলতে পারেননি রচনা।
আরও পড়ুন : রচনা ব্যানার্জীর আসল নাম কী? কেন নিজের পরিচয় গোপন রাখেন অভিনেত্রী?
আরও পড়ুন : পারিশ্রমিক আকাশ ছোঁয়া! Didi Number One -র এপিসোড পিছু কত বেতন পান রচনা ব্যানার্জী?
কী বললেন রচনা ব্যানার্জী?
রচনা আগে রুটি বেলে দেখালেন। তারপর মুখ্যমন্ত্রীও রুটি বেললেন। আনন্দ করে সম্পন্ন হয়েছে আজকের শুটিং। রাজ্যের মহিলাদের উজ্জীবিত করার জন্যই আজকের এই বিশেষ শোয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে রচনা ব্যানার্জী বলেছেন, “এখনো পর্যন্ত যেটা কখনো হয়নি এবার সেটাই বলতে চলেছে। আমি দিদির কাছে চিরকৃতজ্ঞ। এত বছর ধরে আমার শোয়ের যে সুনাম সেটা দিদির উপস্থিতিতে পূর্ণতা পেল।”