ইংরেজি পড়িয়ে পটিয়েছেন বউ, ছাত্রীকে পাত্রী করে ঘরে তুলেছেন মদন দা

কামারহাটির কালারফুল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। তার আশেপাশে ভক্তদের অভাব নেই কোনও। তবে ষাটোর্ধ্ব মদনের আশেপাশে পুরুষের তুলনায় মহিলা ভক্তদের ভিড়ই বেশি। তবে তিনি তো আজ থেকে প্রায় ৩০ বছর আগে বাঁধা পড়ে গিয়েছেন তার ছাত্রী অর্চনা মিত্রের কাছে! অর্চনা মিত্র, বর্তমানে কামারহাটির বিধায়ক-পত্নী তিনি। সম্প্রতি ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ (Didi Number One) এর মঞ্চে সস্ত্রীক হাজির হয়েছিলেন মদন মিত্র। এমন দৃশ্য বিরল। তবে রচনা ব্যানার্জীর (Rachana Banerjee) আমন্ত্রণ ফেলতে পারেননি মদন মিত্র।

তাই তো স্ত্রীকে নিয়ে তিনি পৌঁছে গিয়েছেন রচনার মঞ্চে। সেখানে গিয়ে মদন মিত্র ৩০ বছর আগের প্রেম কাহিনী তুলে ধরলেন। তখন নাকি তিনি তার ছাত্রী অর্চনাকে ইংরেজি পড়াতে যেতেন তার বাড়িতে। ইংরেজি পড়াতে গিয়েই ছাত্রীকে পাত্রী বানিয়ে ফেলেছেন মদন মিত্র। পড়াতে পড়াতেই কখন যেন মন দেওয়া-নেওয়াও হয়ে গেল ছাত্রী-শিক্ষকের মধ্যে। মদন মিত্রের প্রেম কাহিনী শুনে সকলেই টের পেলেন কম বয়সে আরও কালারফুল ছিলেন মদন মিত্র! খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মদন মিত্রকে ‘কালারফুল ছেলে’ বলেছেন। তার সোশ্যাল মিডিয়া প্রীতি তাকে আরও বেশি জনপ্রিয় করে তুলেছে।

তবে বাড়িতে কুটোটিও নেড়ে বউকে সাহায্য করার সময় পান না তিনি। কিন্তু নিজে শারীরিক ভাবে উপস্থিত না থাকতে পারলেও সন্তানদের দায়িত্ব পালনে সব সময় তিনি স্ত্রীর পাশে থেকেছেন। স্বীকার করে নিলেন অর্চনা মিত্র। মদন-পত্নীর কথায়, একটুতেই নাকি রাগ হয়ে যায় মদন মিত্রের। তবে রাগ যদি পড়ে যায় তাহলে গান গেয়ে তিনিই স্ত্রীর সঙ্গে সবকিছু মিটমাট করে নেন। বিয়ের পর নতুন বউকে নিয়ে দার্জিলিং ঘুরতে গিয়েছিলেন মদন মিত্র। তার পরেও বহুবার একসঙ্গে বহু জায়গাতে ঘুরেছেন তারা। তবে মদন মিত্রর সঙ্গে ঘুরতে যেতে চান না অর্চনা।

কারণ একবার নাকি দুচাকায় যাওয়ার সময় স্ত্রীকে পেছনে ফেলে রেখেই অনেকটা পথ এগিয়ে গিয়েছিলেন মদন মিত্র! অনেক পরে টের পেয়েছিলেন স্ত্রী পেছনে বসে নেই! রচনা ব্যানার্জি অর্চনাকে প্রশ্ন করেন, তার স্বামীর চারপাশে সব সময় এত মহিলা ভক্তদের ভিড় লেগে থাকে। তাতে স্বামীকে নিয়ে তার সন্দেহ হয় কি না? মদন-পত্নীর সটান জবাব, “ঘুড়ি যতই উড়ুক, লাটাই তো আমার হাতে”! এক জবাবে কিস্তিমাত করে দিলেন অর্চনা। মদন মিত্র বলে উঠলেন, ‘ওহ লাভলি’!