ভারত বিখ্যাত ধনকুবের মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) স্ত্রী নিতা আম্বানিকে (Nita Ambani) নিয়ে সাধারণের কৌতূহল কম নেই। তিনি কি খাচ্ছেন, কি পরছেন, তার শখ থেকে শুরু করে সম্পত্তি, সবই বেশ আকর্ষণীয়। পৃথিবী বিখ্যাত ধনকুবেরের স্ত্রী হওয়ার সুবাদে বিলাসবহুল জীবন তার। তবে জানেন কি একটা সময় ছিল যখন নিতা আম্বানিকেও সামান্য অর্থের বিনিময়ে অন্যের দরজায় চাকরি করতে হয়েছিল?
নিতা আম্বানির বিলাসিতায় মোড়া এই জীবন চিরকাল ছিল না। এখন তিনি দারুণ বিলাসিতায় জীবন কাটান বটে, কিন্তু একটা সময় মাসে মাত্র ৮০০ টাকা উপার্জন করতেন নিতা। কোনওরকমে কাজ করে নিজের খরচ চালাতেন তিনি। তবে মুকেশ আম্বানিকে বিয়ে করে তার ভাগ্য বদলে যায়। আজ তিনি রয়েছেন রানীর হালে। এখন আর তাকে টাকার জন্য চিন্তা করতে হয় না।
মুকেশ আম্বানিকে বিয়ে করার আগে একটি স্কুলে শিক্ষিকা হিসেবে কাজ করতেন নিতা। ছোট ছোট শিশুদের পড়াতেন তিনি। তখন তার বেতন ছিল মাত্র ৮০০ টাকা। সেই টাকাতেই তিনি স্কুলে শিক্ষকতার কাজটি করতেন। নিতাকে আসলে ছেলের জন্য বেশ পছন্দ হয়ে যায় ধীরুভাই আম্বানির। নিতার আচার-ব্যবহার তার বেশ ভাল লেগেছিল। মুকেশ আম্বানির স্ত্রী হতেই বদলে যায় নিতার জীবন।
নিতাকে পছন্দ হতেই ধিরুভাই আম্বানি সরাসরি তার বাড়িতে পৌঁছে যান বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে। এরপর মহা ধুমধাম করে তাদের বিয়েও হয়ে যায়। আম্বানি পরিবারের পুত্রবধূ হতেই বদলে যায় নিতার জীবনযাপন। এখন তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ২.৮ বিলিয়ন ডলার। তাই বলা যেতে পারে মুকেশ আম্বানিকে বিয়ে করার পরই নিতার ভাগ্যও বদলে যায়।
১৯৮৫ সালে আম্বানি পরিবারের পুত্রবধূ হয়ে এসেছিলেন নিতা। এরপর তাদের দুই পুত্র এবং এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। তাদের বড় ছেলের নাম অনন্ত আম্বানি এবং ছোট ছেলের নাম আকাশ আম্বানি। এক মেয়ের নাম ইশা। ইশা এখন বাবার রিলায়েন্স জিও এবং রিলায়েন্স রিটেলের বোর্ড মেম্বার। তাদের দুই ছেলে আকাশ এবং অনন্ত রিলায়েন্স জিও ইনফোকমের কৌশলগত বিভাগের প্রধান হয়ে বাবাকে সাহায্য করছেন।
বিশ্বের সবথেকে দামি আবাসন আন্টিলিয়াতে পুত্র-কন্যা ও স্বামীর সঙ্গে সুখে সংসার করছেন নিতা। মাঝেমধ্যেই তার বিলাসবহুল জীবন নিয়ে নানা জল্পনা চলে সোশ্যাল মিডিয়াতে। নিতার সাদা কুমিরের চামড়ার হ্যান্ডব্যাগ বা দামি হিউমানয়েডের ব্যবহারের কথা জেনে অবাক হয়েছে গোটা বিশ্ব। সকলেই আরও বেশি অবাক হন বিয়ের আগে নিতার ৮০০ টাকা মাইনের চাকরির খবর জেনে।