স্বজনপোষণ বিতর্কে প্রসেনজিৎকে নিয়ে মুখ খুললেন লোকেশ ঘোষ

টলিউডে (Tollywood) নেপোটিজম (Nepotism) বিতর্ক মানেই প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের (Prasenjit Chatterjee) নাম উঠবেই। প্রসেনজিতের বিরুদ্ধে তারই সহ অভিনেতা এবং অভিনেত্রীরা বারবার স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলেছেন। এমনকি প্রসেনজিতের কারণেই তাদের কেরিয়ার নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগও করেছেন। অভিষেক চট্টোপাধ্যায় (Abhishek Chatterjee), শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra), টোটা রায়চৌধুরীদের (Tota Roy Chowdhury) পর এবার মুখ খুললেন লোকেশ ঘোষ (Lokesh Ghosh)।

৯০ এর দশকের কমার্শিয়াল বাংলা ছবিতে বেশ কিছু ক্ষেত্রে সুযোগ পেয়েছেন লোকেশ। তবে তার অভিনয়ের কেরিয়ার ছিল সীমিত। যে ক’টি ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন খুব সামান্য ক্ষেত্রেই নায়ক হতে পেরেছেন। বেশিরভাগ সময়েই তাকে প্রধান নায়কের পাশে সেকেন্ড লিড চরিত্রে দেখা গিয়েছে। হয় নায়কের বন্ধু, নতুবা নায়কের ভাই। নায়ক হয়ে ওঠা আর হয়ে উঠলো না। ১৯৯৫ সালে অঞ্জন চৌধুরীর ‘নাচ নাগিনী নাচ’ ছবির হাত ধরে অভিনয় জগতে প্রবেশ করেন তিনি। ২০০৯ সাল পর্যন্ত টানা টলিউডে কাজ করে গিয়েছেন। কিন্তু ধীরে ধীরে তার কাজের পরিমাণ কমেছে।

আজ ইন্ডাস্ট্রি থেকে এক প্রকার হারিয়েই গিয়েছেন লোকেশ। পরে অবশ্য ফিরেছেন নতুন রূপে। তখন তিনি প্রযোজক। প্রযোজক হিসেবে টলিউডে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছেন লোকেশ। একসময় যখন হিরো হওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন তখন ক্রমাগত সেকেন্ড লিড চরিত্রই তার ভাগ্যে জুটছিল। টলিউডে তখন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের রাজত্ব। কখনও প্রসেনজিতের ভাই, কখনও বন্ধু হয়ে অভিনয় করেন তিনি। এবার যুগ বদলায়। যুগের সঙ্গে সঙ্গে দর্শকের রুচিও বদলায়। গতানুগতিক ধারার বাইরে বেরিয়ে ছবি বানাতে নতুন নতুন পরীক্ষা নিরীক্ষার আশ্রয় নেন পরিচালকরা। সেখানেও সবাইকে টেক্কা দিয়ে এগিয়ে প্রসেনজিৎ।

বাণিজ্যিক ছবি আর প্যারালাল সিনেমার বিভাজন যখন মিটে গিয়েছে, পরিচালকদের কাছে তখন ওয়ান এন্ড অনলি পছন্দ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। টলিউড বলতে শুধু তাকেই বোঝানো হতো। তাই পরিচালকদের প্রথম আর শেষ পছন্দ ছিলেন প্রসেনজিৎ। এভাবেই প্রসেনজিতের খ্যাতির আড়ালে চাপা পরে গিয়েছে বহু তারকা’র কেরিয়ার। তাদের মধ্যে শ্রীলেখা মিত্র, অভিষেক চ্যাটার্জী, টোটা রায়চৌধুরীরা নিজের নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। বাকিরা মুখ বুজেই রয়েছেন।

তবে এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন লোকেশ। তবে লোকেশের গলায় কিন্তু উল্টো সুর শোনা গেল। তিনি প্রসেনজিতের বিপক্ষে নন। বরং প্রসেনজিতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ তিনি। তিনি বললেন, “আমি কখনও বুম্বাদাকে স্বজনপোষণ (Nepotism) করতে দেখেনি। আমি যদি বুম্বাদার জায়গায় থাকতাম কনট্রাক্ট করিয়ে অভিনেতা অভিনেত্রী বাছতাম, যদিও বুম্বাদাকে তেমন কিছু করতে কখনই দেখিনি”।