গত দুই সপ্তাহ ধরে বাংলা টেলিভিশন চ্যানেলের বেঙ্গল টপার হয়ে রয়েছে স্টার জলসার (Star Jalsha) ধূলোকণা (Dhulokona) ধারাবাহিকটি। গত ৯ মাস ধরে টিআরপি তালিকায় সংঘর্ষ করার পর শেষমেষ সেরার সেরা আসন এখন লীনা গাঙ্গুলীর এই ধারাবাহিকের দখলে। ধারাবাহিকে বিবাহ পর্ব শুরু হতেই টিআরপি বাড়তে শুরু করেছে। দর্শকরা এখন অন্যান্য সব ধারাবাহিক ছেড়ে দেখছেন ধূলোকণা।
ধূলোকণার ঝড়ে বলতে গেলে বাংলা টেলিভিশন চ্যানেলের জনপ্রিয় দুই ধারাবাহিক মিঠাই এবং গাঁটছড়ার ম্যাজিক হাওয়া হয়ে গিয়েছে। যদিও ফুলঝুরির বদলে লালনের সঙ্গে চড়ুইয়ের বিয়ে দিয়ে দেওয়াতে দর্শকদের একাংশ ধারাবাহিকের উপর বেজায় রেগে রয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে চ্যানেল এবং ধারাবাহিকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন তারা।
লালন এবং ফুলঝুরির বিয়ে বারবার ভেস্তে দিচ্ছে চড়ুই। শেষমেষ ফুলঝুরিকে সরিয়ে সে নিজেই লালনকে বিয়ে করে নেয় সকলের অজান্তে। সবকিছু জেনেও চুপ করে থাকে ফুলঝুরি। ফুলঝুরির এই কাণ্ড দেখে হতবাক দর্শকরা। নায়িকার অতিরিক্ত ‘ন্যাকামি’ দেখে চোখ কপালে উঠেছে তাদের। তাদের সব রাগ গিয়ে পড়ছে নায়িকার উপর।
যদিও দর্শকদের একাংশ অবশ্য এই ধারাবাহিকের কলাকুশলীদের দোষ দেখতে নারাজ। কারণ নায়ক এবং নায়িকাদের হাতে যে স্ক্রিপ্ট তুলে দেওয়া হয় তারা সেই অনুযায়ী অভিনয় করেন। অতএব গল্পের এই ট্র্যাকের জন্য ফুলঝুরির দোষ খুঁজে পাচ্ছেন না দর্শকরা। তাই তাদের সব রাগ গিয়ে পড়ছে লেখিকা লীনা গাঙ্গুলীর উপর। আপাতত গল্প যেদিকে এগোচ্ছে তার পরিপ্রেক্ষিতে লীনা গাঙ্গুলীর সমালোচনা করতে শুরু করে দিয়েছেন দর্শকরা।
তবে লেখিকা অবশ্য এসব নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ। সমালোচকদের মুখে ছাই দিয়ে ধূলোকণা বেঙ্গল টপার হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তার বক্তব্য, “অনেকগুলো বছর হয়ে গেল আমার সিরিয়াল টপার। এখন আর নতুন করে শিহরণ হয় না। কিন্তু ভাল লাগে। এটাও তো একটা লড়াই বটেই।” অন্যদিকে তার লেখনী নিয়ে যে সমালোচনা চলছে তাতেও বিশেষ পাত্তা দিতে নারাজ লেখিকা। তার পাল্টা দাবী, “আসলে মানুষ ড্রামা পছন্দ করে। সবই তো আসলে দর্শকের জন্য।”