ভবিষ্যতের সবথেকে প্রতিশ্রুতিমান অভিনেত্রী, আজ থেকে প্রায় ২০ বছর আগে যখন ইন্ডাস্ট্রিতে এক নতুন মুখের আবির্ভাব হয় তখন তার সম্পর্কে এমনটাই বলেছিল টলিউড (Tollywood)। কিন্তু কনীনিকা ব্যানার্জীর (Koneenica Banerjee) ভবিষ্যৎটা ঠিক ততটাও মসৃণ হল না যতটা দর্শকরা আশা করেছিলেন। একজন দক্ষ অভিনেত্রী হওয়া সত্ত্বেও টলিউডে মাত্র হাতে গোনা কিছু কাজের সুযোগ এসেছে তার কাছে। এরমধ্যে বেশিরভাগই ছিল পার্শ্বচরিত্র।
ইন্ডাস্ট্রিতে নারী-পুরুষের সমান অধিকার, যোগ্য সম্মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে আজও। টলিউড কি অভিনেত্রীদের যোগ্য সম্মান দেয়? স্টার জলসার (Star Jalsha) ‘আয় তবে সহচরী’র (Aay Tobe Sohochori) অভিনেত্রীর কথায়, টলিউডে অভিনেত্রীদের আজও সেভাবে জায়গা দেওয়া হয় না। তবে বাংলা সিরিয়াল নিয়ে আশাবাদী অভিনেত্রী। কারণ একমাত্র বাংলা সিরিয়ালেই নারীকেন্দ্রিক গল্প দেখানো হয়। কিন্তু সেখানে আবার নারী-পুরুষের দ্বন্দ্ব নয়, চলে দুই নারীর দ্বন্দ্ব।
সম্প্রতি খাস খবরের কাছে একটি সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে অভিনেত্রী বলেছেন, ‘‘সিরিয়াল মানেই তো মেয়েরা, অন্তত একটা জায়গা তো মেয়েদের জন্য রয়েছে। সিনেমাতে তো মেয়েদের জায়গা নেই। বলিউডে থাকলেও টলিউডে একমাত্র যে অভিনেত্রীরা বাইরে থেকে প্রযোজক ধরে আনতে পারেন শুধুমাত্র তারাই ছবিতে সুযোগ পান। যারা পারেন না, তারা ভালো অভিনেত্রী হলেও দিনের পর দিন পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করে যেতে হয় তাদের। আমার ক্ষেত্রেও এই একই ঘটনা ঘটেছে”।
তবে এতে কোনও রাগ নেই অভিনেত্রীর। কারণ ছবির কাজের সুযোগের জন্য প্রডিউসার ধরে আনা তার পক্ষে সম্ভব নয়। কনীনিকার কথায়, “আমি জানি আমি প্রডিউসার ধরে আনতে পারি না। নেটফ্লিক্স অ্যামাজন দেখলে বোঝা যায় মেয়েদের নিয়ে এখন কত কাজ হচ্ছে। বয়সটা এখন কোনও ম্যাটার করে না।” অভিনেত্রীর প্রশ্ন, “মা দুর্গাকে দেখে আমরা বয়স দেখে পুজো করি? বাবাদের মায়েদের বয়স হয়ে গেলে কি তারা আমাদের কাছে ফালতু হয়ে যান? কখনোই না।’’
তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “কেন ধরে নেওয়া হয় যে একটা মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে বা বাচ্চা হয়ে গিয়েছে মানে সেই মেয়েটা আর অভিনেত্রী হওয়ার যোগ্য নন? এই জায়গাটা বদলানোর প্রয়োজন। বাংলা বা হিন্দি সিনেমাতে মেয়েদের প্রাধান্য দেওয়া উচিত, এখনো অনেক জিনিস দেখানো বাকি রয়ে গিয়েছে, এক্সপেরিমেন্ট করতে করতে নতুন একটা বাজার তৈরি হতে পারে এবং সেটা একজন মেয়ের হাত ধরেও হতে পারে- এটাই আমার বিশ্বাস”।