বাংলার সংগীতশিল্পীদের মধ্যে পন্ডিত অজয় চক্রবর্তী (Ajay Chakraborty) এবং তার কন্যা কৌশিকী চক্রবর্তী (Kaushiki Chakraborty) খুবই জনপ্রিয়। শুধু বাংলাতেই নয়, তারা তাদের গায়কীর মাধ্যমে সারাদেশে জনপ্রিয়। শাস্ত্রীয় সংগীতের মহারথী হলেন অজয় চক্রবর্তী। তার কন্যা কৌশিকী বাবার যোগ্য উত্তরসূরী।
তবে জানেন কি আজ এত জনপ্রিয়তা আছে বটে, কিন্তু একটা সময় ছিল যখন পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীকে চূড়ান্ত অভাবের মধ্যে দিন কাটাতে হয়েছে? শাস্ত্রীয় সংগীতের মহাগুরু পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীর বাবা ছিলেন শ্যামনগরের তাঁতী পরিবারের ছেলে। তার বাবা ছিলেন একজন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক এবং মা তাঁত চালাতেন।
পন্ডিত অজয় চক্রবর্তী ব্যাংকে চাকরি করার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু তার বাবা তাকে কেরানির চাকরি করতে দিতে চাননি। তার স্বপ্ন ছিল ছেলে একদিন অনেক বড় শিল্পী হবে। ছোটবেলায় তাদের এতটাই অভাবের সংসার ছিল যে মায়ের বানানো কাপড় তিনি পাড়ায় পাড়ায় বেচতে যেতেন। শ্যামনগরের স্টেশনে বসে ডাবও বিক্রি করেছেন তিনি।
যতই অভাব থাকুক, কখনও গান ছাড়েননি পন্ডিত অজয় চক্রবর্তী। অভাব অনটনের সংসারে বাড়িতে চুনোপুটি ছাড়া বড় মাছ কখনও হতে দেখেননি তিনি। তার বাবা বাজারে গেলে তাকে একপ্রকার মুখ ঝামটা দিয়েই তাড়িয়ে দেওয়া হত এই বলে, “তাঁতীর বাড়ির ছেলে আপনি ওদিকে যান চুনোপুটি মাছের দিকে।”
ঠিক একইভাবে মেয়েকেও কখনও বিলাসিতার মধ্যে মুড়ে ফেলেননি ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের মহাগুরু। কৌশিকীও তার ছোটবেলায় বিলাসিতা দেখানোর সুযোগ পাননি। নামী বাবার মেয়ে হয়েও খুবই সাধারণ জীবনযাপন ছিল তাদের। সবকিছু ছেড়ে শুধু গানটাকে আঁকড়ে ধরে আজ এত বড় শিল্পী হতে পেরেছেন কৌশিকী।
আরও পড়ুন : ‘অরিজিতের গান এত জঘন্য! শুনেই কেঁদে ফেলেছিলাম’, ক্ষোভ উগড়ে বিস্ফোরক অনুরাধা পাড়োয়াল
ছোট থেকে এই গানের প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিল কৌশিকীর। বয়স যখন মাত্র ১০ বছর তখন বাবার গুরু জ্ঞান প্রকাশ ঘোষ মহাশয়ের কাছে সংগীতের প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেন তিনি। এরপর আইটিসিতে গানের একাডেমিতে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। শাস্ত্রীয় সংগীত গাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ছবিতেও প্লেব্যাক গেয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন : মঞ্চে গান গাইতে কত পারিশ্রমিক নেন বলিউড গায়করা? চমকে দেবে অরিজিত-শ্রেয়াদের পারিশ্রমিক