আরও জব্দ হবে পরাগ-পলাশ, দুই ছেলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিলেন শিমুলের শাশুড়ি মা

জোর জব্দ পরাগ-পলাশ! দুই ছেলেকে জব্বর টাইট দিলেন মধুবালা, ফাঁস আজকের ধামাকা পর্ব

জি বাংলার (Zee Bangla) কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kachhe Koi Moner Kotha) ধারাবাহিকটিকে নিয়ে এখন জোরদার চর্চা চলছে দর্শক মহলে। সদ্য গয়না চুরির অপবাদ থেকে মুক্তি পেয়েছে শিমুল। শুধু চুরির অপবাদ থেকে মুক্তি নয়, হাতেনাতে সে ধরিয়ে দিয়েছে আসল অপরাধীদের। আরও একবার পরাগ, পলাশ এবং প্রতীক্ষার আসল চেহারা সবার সামনে ফাঁস হয়েছে। এবার তাদের শাস্তি পাওয়ার পালা।

সবকিছু মিটমাট হয়ে যাওয়ার পর শিমুল আবার তার শ্বশুরবাড়িতেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। দর্শকদের একাংশ যদিও এতে মোটেই খুশি নন। শিমুল শতদ্রুর হাত ধরে বেরিয়ে গেলে ভালো হত মনে করছেন তারা। তবে আপাতত গল্পে যে জমজমাট টুইস্ট আসছে তা দেখলে বরং খুশি হবেন তারা। শিমুলের শাশুড়ি মা মধুবালা এবার নিজেই তার ছেলেদের শাস্তি দেবেন।

Kar Kachhe Koi Moner Kotha

খুনের চেষ্টা থেকে শুরু করে চোর অপবাদ দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়ানোর চেষ্টা, শিমুলের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র হয়েছে। আর এই সব কিছুর পেছনে রয়েছে পরাগ ও পলাশ। এদিকে সব সত্যি প্রকাশ্যে আসার পর মধুবালা কোনওরকমে শিমুলকে বাড়িতে আটকে নেন। তবে ছেলেদের প্রতি দুর্বল নন তিনি। এবার তিনি একের পর এক কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন।

মধুবালা এরই মধ্যে প্রতীক্ষাকে জানিয়ে দিয়েছেন তাকে এবার নিজের খাবার নিজেকেই বানাতে হবে। নিজের বাসন নিজেই মুছে রাখবে সে। এবার থেকে বাড়িতে পুতুল, শিমুল আর মধুবালার রান্না হবে আলাদা। সেই সঙ্গে পরাগ-পলাশের বাড়িতে থাকা নিয়েও নতুন নিয়ম চালু করলেন মধুবালা। এবার নাকি তাদের বাড়িতে থাকতে হলে ভাড়া দিতে হবে।

KAR KACHHE KOI MONER KATHA

মধুবালা বলেন, “এটা আমার বাড়ি। তোমরা দুই ভাই যদি এই বাড়িতে থাকতে চাও তাহলে ভাড়া দিয়ে থাকবে। তোমরা না থাকলে আমি অন্য কাউকে ভাড়া দিয়ে সেখান থেকে টাকা পেতাম। আর তোমরা যখন নিজের মা-দিদিকে খাওয়ার টাকা দিতে চাইছ না, তখন তো তোমাদের এই বাড়িতে ভাড়া দিয়েই থাকতে হবে।”

আরও পড়ুন : জগদ্ধাত্রী নয়, ফুলকিও বাদ! দর্শকদের বিচারে জি বাংলার সেরা ধারাবাহিক কোনটি?

Kar Kachhe Koi Moner Kotha

আরও পড়ুন : দর্শকের বিচারে স্টার জলসার সেরা সিরিয়াল কোনটি? প্রকাশ্যে এল সমীক্ষার ফলাফল

মধুবালার মুখে এই কথা শুনে পরাগ-পলাশ নিজের কানকেও বিশ্বাস করতে পারে না। সেই সঙ্গে শিমুলও বলে দেয় পরাগ টাকা দিতে বাধ্য। কারণ এই নিয়ে তাদের মধ্যে লেখা-পড়া হয়েছিল। যদি এখন পরাগ টাকা দিতে অস্বীকার করে তাহলে শিমুল অনেক বড় পদক্ষেপ নেবে। মা এবং বউয়ের ভয়ে কার্যত তটস্থ পরাগ। সেই সঙ্গে পলাশ এবং প্রতীক্ষাও পড়েছে জোর বিপাকে।