এই মুহূর্তে জি বাংলার (Zee Bangla) কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kachhe Koi Moner Kotha) ধারাবাহিকের টানটান গল্প মানুষের ভীষণ নজর কেড়েছে। শিমুলকে চোর অপবাদ দেওয়ায় সে ঠিক করে, সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাবে। কিন্তু তার আগে সে প্রমাণ করবে তাকে যে অপবাদ দেওয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। শিমুল কিভাবে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করবে আপাতত সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন ভক্তরা।
ধারাবাহিকের গল্প অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, শিমুলের দেওর পলাশের বিয়ে হচ্ছে ধুমধাম করে এবং পলাশ এবং পরাগ দুজনেই শিমুলের সাথে ভীষণ ভালো ব্যবহার করছে যা দেখে শিমুলের কিছুটা সন্দেহ হলেও মুখে সে কিছু বলে না। শিমুলের সাথে ভালো ব্যবহার করার পাশাপাশি বারবার বিয়ে বাড়িতে ডেকে আনা হয় শতদ্রুকে। শতদ্রু এবং শিমুলের বিরুদ্ধে পলাশ এবং পরাগ যে কোন প্ল্যান করছে তা বিন্দুমাত্র টের পায় না কেউ।
প্ল্যানমাফিক প্রতীক্ষা বিয়ের পর শ্বশুর বাড়িতে এসে নিজের বিয়ের গয়নাগুলি শিমুলকে আলমারিতে তুলে রাখতে বলে। শিমুল গয়নাগুলি আলমারিতে রেখে ঘর থেকে বেরিয়ে এলে পরাগের সহযোগিতায় প্রিয়াঙ্কা সেই গয়নাগুলি শতদ্রুর ব্যাগে রেখে দেয়। যথা সময় শিমুল সেই গয়নাগুলি আলমারি থেকে বের করে নিয়ে আসার সময় সেগুলি খুঁজে না পেয়ে পরাগকে জানায় এবং তারপরেই দেখে আনা হয় পুলিশ।
পুলিশ এসে শতদ্রুর ব্যাগ থেকে গয়নাগুলি বের করে এবং ততক্ষণে শিমুলের বুঝতে আর বাকি থাকে না যে কেন এতদিন পরাগ এবং পলাশ তার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছিল। শতদ্রুকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায় চোর অপবাদে। পরের দিন সকালে শিমুল এবং তার বন্ধুরা কোর্ট থেকে শতদ্রুকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে এবং অপেক্ষা করে ফিঙ্গারপ্রিন্ট আসার অপেক্ষায়। এই ফিঙ্গারপ্রিন্টের রেজাল্ট এলেই বোঝা যাবে চাবিতে বাড়ির মানুষ ছাড়াও আর কার হাতে ছাপ রয়েছে।
শিমুল যখন শতদ্রুকে ছাড়িয়ে নিয়ে বিপাশার বাড়িতে রেখে বাড়িতে আসে তখন শিমুলকে দেখে রীতিমতো চমকে যায় পরাগ, পলাশ এবং প্রতীক্ষা। তারা বুঝতে পারে শিমুল নিশ্চয়ই সবকিছু জেনে গেছে এবং এবার প্রমাণ করার পালা। তবে এই সব কিছুর মধ্যেই পুতুলকে দেখে মানুষের চোখে জল চলে এসেছে কারণ শিমুল বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলে সব থেকে বেশি কষ্ট পাবে পুতুল।
আরও পড়ুন : ‘টাকা আর শোওয়া’ ছাড়া কাজ মেলে না! বাংলা সিরিয়ালের সব সিক্রেট ফাঁস করলেন ‘ইচ্ছে পুতুলে’র জিষ্ণু
আরও পড়ুন : একটা বিজ্ঞাপনই বদলে দিল ভাগ্য! ‘কথা’ নায়িকা সুস্মিতার জীবন যেন সিনেমা
আগামী পর্বে আমরা দেখতে পাবো, পুলিশ ফিঙ্গারপ্রিন্টের রেজাল্ট নিয়ে হাজির হয়ে যায় শিমুলের শ্বশুরবাড়িতে এবং সকলকে জানাই যে বাড়ির মানুষ ছাড়াও যে দ্বিতীয় ব্যক্তির হাতের ছাপ পাওয়া গেছে চাবিতে, সে হলো প্রিয়াঙ্কা। প্রিয়াঙ্কা এবং পরাগকে পুলিশ অ্যারেস্ট করে এবং শিমুল ফিরে পায় তার হারানো সম্মান। তবে এবার সে সত্যি শতদ্রুর হাত ধরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাবে কিনা সেটাই এখন দেখার।