Kar Kache Koi Moner Kotha Episode Update : জি বাংলা (Zee Bangla) -র ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Kotha) সিরিয়ালটি শুরু হওয়ার পর থেকেই দর্শকদের একাংশ গল্পের প্লট নিয়ে আপত্তি তুলছিলেন। বাংলা সিরিয়ালে চিরাচরিত শাশুড়ি-বৌমার রেষারেষি দেখানো নতুন কিছু নয়। কিন্তু এই সিরিয়াল যেন ক্রমে শাশুড়ি-বৌমা, স্বামী-স্ত্রী, দেওর-বৌদির সম্পর্কগুলোকে নিচু করে যাচ্ছিল প্রথম থেকেই। তাই সোশ্যাল মিডিয়াতে সমালোচনা কিছু কম হচ্ছিল না। বাধ্য হয়েই এবার গল্প বদলাতে হল নির্মাতাদের।
শিমুল শ্বশুরবাড়িতে পা রাখার পর থেকেই দেখানো হয় তার শাশুড়ি মা কিভাবে ক্রমাগত নতুন বৌমার উপর অত্যাচার করে যাচ্ছেন। শিমুলের শাশুড়ি ভীষণ কঠোর, নিষ্ঠুর এবং প্রাচীন চিন্তাধারার মানুষ। তবে তিনি কেন এমন এবার তার কারণগুলি দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করতে চাইছেন লেখিকা। শিমুলের শাশুড়ি মায়ের ইতিহাস তুলে ধরা হচ্ছে। শিমুল ধীরে ধীরে জানতে পারছে তার শাশুড়ি মা কেন এত কঠোর হয়েছেন।
গল্পের সাম্প্রতিকতম এপিসোডে দেখা গেল শিমুল আর পুতুল বারান্দায় দাঁড়িয়ে নাচের রিহার্সাল দিচ্ছে। সেটা দেখে ফেলে পরাগের মা বলেন, “সংসার উচ্ছন্নে ফেলে এরা সব কি করছে।” এরপরে কথায় কথায় উঠে আসে পরাগের মাও নাকি গান গাইতে পারতেন। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে আসার পর তার নিজের সমস্ত শখ-আহ্লাদ মিটে যায়। এমনকি তিনি ভুল করে বাথরুমে গুনগুন করে গান গাইলেও তার শাশুড়ি মা তাকে চ্যালাকাঠ দিয়ে মারতেন।
পরাগের মা অর্থাৎ শিমুলের শাশুড়িকেও কিছু কম অত্যাচার সহ্য করতে হয়নি শ্বশুরবাড়িতে এসে। তার উপর সংসারের সকলের রান্নার দায়িত্ব ছিল। ফাইফরমাস খাটতে হত সবার। এর মধ্যে তিন তিনটি সন্তান প্রসব করতে হয়েছিল তাকে। এমনকি সন্তান প্রসবের পর তিনি এক সপ্তাহ বিশ্রাম পেতেন না। বলতে গেলে নিজের জীবনে তিনি যা কিছু কষ্ট পেয়েছেন সবটাই যেন উসুল করতে চাইছেন তার নিজের বৌমাকে দিয়ে।
শিমুলের শাশুড়ি এও জানান তার বাবা তার সঙ্গে দেখা করতে এলে তাকে ঘন্টার পর ঘন্টা বসিয়ে রাখা হত। তারপর মাত্র ৫ মিনিটের জন্য বাপ-মেয়ে দেখা করতে পারতেন। এমনকি বাপের বাড়ি যাওয়ার অনুমতিও ছিল না তার। শ্বশুরবাড়িতে এসে তিনি কতটা অত্যাচারিত হয়েছিলেন ধীরে ধীরে তা জানা যাচ্ছে। এসব শুনে শিউরে ওঠে শিমুল নিজেও।
আরও পড়ুন : ‘বাবুউউ’র মা থেকে পরাগের মা! বাংলা সিরিয়ালের সব থেকে খারাপ শাশুড়ি এই ৫ জন
শিমুল তার শাশুড়ির পুরনো অতীত জেনে আঁতকে ওঠে। এরপর সে নিজেই শাশুড়িকে গান গাইতে বলে। তবে তিনি বৌমাকে সাফ সাফ বলে দেন, শিমুল যেন না ভাবে শাশুড়ি মাকে দিয়ে গান গাওয়ালে সে নিজে গান গাওয়ার অনুমতি পাবে। যদি সে এমনটা করে তাহলে তাকে বাপের বাড়িতে রেখে আসা হবে। তবে শিমুলও শুনিয়ে দেয় এখন সময় বদলেছে, মেয়েদের নিয়ে অনেক আইন-কানুন আছে। শাশুড়ি-বৌমার মধ্যে সম্পর্ক এবার নরম হবে কিনা সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন : ‘একটা সিরিয়াল করেই হিট, একটুও ধৈর্য নেই!’ কাকে বিঁধলেন রচনা ব্যানার্জী?