একাধিক বিয়ে, অজস্র সহবাস, এই ৫ মেয়ের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন কমল হাসান

দক্ষিণের (South Indian Film) সুপারস্টার অভিনেতা তিনি। একাধারে অভিনেতা, পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, প্রযোজক, গায়ক এবং গীতিকার হিসেবে অবদান রেখেছেন তামিল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। বলিউডের একাধিক ছবিতেও কাজ করেছেন। পেশাগত জীবনে বর্ণময় তার অস্তিত্ব। এহেন সুপারস্টার অভিনেতার ব্যক্তিগত জীবনও বেশ রঙিন। বয়স তার ৬৫ পেরিয়েছে। একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক এবং অন্তরঙ্গতা নিয়ে বরাবর চর্চায় থেকেছেন কমল হাসান (Kamal Haasan)।

দক্ষিণের এই সুপারস্টারের কোনও কালেই বিয়েতে বিশ্বাস ছিল না। তিনি ছিলেন লিভ ইন-এ বিশ্বাসী। তবে প্রেমিকাদের চাপে বার দুয়েক বিয়ের পিঁড়িতে বসতে বাধ্য হলেও শেষমেষ সম্পর্ক ভেঙে কিংবা ভাঙ্গনের আগেই অন্য মহিলার প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছেন। তার জীবনে সুন্দরীদের অভাব হয়নি কখনও। নায়িকা থেকে গায়িকা, কমল হাসানের পরিণীতা হওয়ার জন্য সুন্দরীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা লেগেই ছিল। তবে কারও সঙ্গেই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে পারেননি অভিনেতা।

কেরিয়ারের শুরুর দিনগুলিতে অভিনেত্রী শ্রীবিদ্যার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। দুজনে একসঙ্গে বহু সুপারহিট ছবিতেও অভিনয় করেছেন। দুই পরিবারের সম্মতি থাকা সত্ত্বেও শেষমেষ তাদের সম্পর্ক ভেঙে যায়। কমলের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে শ্রীবিদ্যা ১৯৭৬ সালে মালায়ালাম পরিচালক জর্জ থমাসকে বিয়ে করেন। এরপর ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে ২০০৬ সালে তার মৃত্যু হয়। এর দুই বছর পর মালায়ালাম ছবি ‘থিরাক্কথা’ মুক্তি পেয়েছিল। শ্রীবিদ্যা এবং কমল হাসানের সম্পর্কের বুনিয়াদ ছিল এই ছবির প্রেক্ষাপট।

শ্রীবিদ্যার পর কমল হাসানের জীবনে আসেন নৃত্যশিল্পী বাণী গণপতি। দু বছর সম্পর্কের পর তারা বিয়ে করেন। যদিও কমল লিভ ইন সম্পর্কেই থাকতে চেয়েছিলেন। তবে প্রেমিকার আপত্তিতে তাকে বিয়ের পিঁড়িতে বসতেই হয়। ১০ বছর সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার পর বিয়ে ভেঙে যায়। কমলের জীবনে ততদিনে চলে এসেছিলেন সারিকা। বিয়ের আগেই তাদের বড় কন্যা শ্রুতি হাসানের জন্ম হয়। এরপর ১৯৮৮ সালে সারিকাকে বিয়ে করেন কমল। ১৯৯৯ সালে তাদের ছোট মেয়ে অক্ষরার জন্ম হয়। সারিকার সঙ্গে সম্পর্কের মেয়াদ ছিল ১৬ বছর। ২০০৪ সালে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।

শোনা যায়, সারিকাকে বিয়ের পর কমল হাসান একই সঙ্গে নায়িকা সিমরান বাগ্গা সারিকার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী গৌতমীর‌ সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। ২০০১ সালে একটি ছবির শুটিংয়ের সময় নিজের বয়সের তুলনায় ২২ বছরের ছোট সিমরনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন কমল। তবে এই সম্পর্কের মেয়াদ ছিল মাত্র দুই বছর। তারপরই কমল হাসান গৌতমীর সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে থাকতে শুরু করেন। শোনা যায় এই সময় নাকি চরম হতাশায় আত্মঘাতী হতে চেয়েছিলেন সারিকা।

গৌতমীর সঙ্গে সম্পর্কের মেয়াদ টিকে ছিল ১৬ বছর। তার পরেও সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া প্রসঙ্গে গৌতমী বলেছিলেন বিয়ে না হলেও তিনি সম্পর্কের প্রতি কমিটেড ছিলেন। গৌতমী অভিযোগ করেছিলেন কমল হাসানের ছবিতে তিনি কস্টিউম ডিজাইনার হিসেবে কাজ করেছেন। তবে উপযুক্ত পারিশ্রমিক তাকে দেওয়া হয়নি। এও শোনা যায়, বাবার সঙ্গে গৌতমীর সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি শ্রুতি। সম্পর্ক ভাঙ্গার নেপথ্যে তিনিই ছিলেন কারণ। তবে সম্পর্ক ভেঙে গেলেও গৌতমীর পাশে সব সময় ছিলেন কমল হাসান।