বলিউড (Bollywood) ইন্ডাস্ট্রিতে তারকাদের একান্ত গোপনীয় কসমেটিকস সার্জারি, প্লাস্টিক সার্জারি, বোটক্সের মত রূপচর্চার সিক্রেটগুলো কার্যত সকলেরই জানা হয়ে গিয়েছে এতদিনে। শ্রীদেবী থেকে শুরু করে হালফিলে বলিউডের বর্তমান প্রজন্মের প্রায় সকলেই ‘প্লাস্টিক সুন্দরী’ বলে বিতর্কের ঝড় ওঠে। বলিউড অভিনেত্রী কাজলকেও (Kajol) এই নিয়ে কথা শুনতে হয়।
কাজল যখন প্রথমবার বলিউডের পর্দায় পা রেখেছিলেন তখন তাকে ঠিক যেভাবে দেখেছিলেন দর্শকরা সেই চেহারার সঙ্গে বর্তমান চেহারার বিস্তর অমিল রয়েছে। বয়সের পার্থক্য নয়, কাজলের ত্বকের রঙের পরিবর্তনটা বেশি করে চোখে পড়ে ভক্তদের। শ্যামবর্ণা গায়ের রং, জোড়া ভ্রু আর ঠোঁটে মিষ্টি হাসি, কাজলকে এই লুকেই ভালবেসে ফেলেছিলেন দর্শকরা।
‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ ছবিতে কাজলের ত্বকের ছিল শ্যাম বর্ণ। সেই থেকে এখন থেকে এমন ধবধবে ফর্সা হতে দেখে স্বভাবতই এর পেছনের রহস্য নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। শুধু কাজল নন, তার কন্যা নায়সার রূপ বদল নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বারবার। নিন্দুকদের দাবি, অস্ত্রোপচার করেই নাকি ফর্সা হয়েছেন কাজল এবং তার কন্যা নায়সা।
এতদিন অবশ্য নিজের ফর্সা হওয়ার রহস্য লুকিয়ে রেখেছিলেন কাজল। তবে এবার তিনি জানালেন আসল রহস্যটা। কীভাবে হঠাৎ কালো থেকে ফর্সা হয়ে উঠলেন তিনি? সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি ছবি পোস্ট করে তিনি দিয়েছেন তার জবাব। গোটা মুখ কালো মাস্কে ঢেকে সানগ্লাস পরে দাঁড়িয়েছিলেন কাজল। তিনি বলেছেন এটাই নাকি তার ফর্সা হওয়ার রহস্য।
কাজল তার ছবিটি পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়াতে লিখেছেন, “তাদের জন্য, যারা রোজ জিজ্ঞেস করে, কীভাবে এত ফর্সা হলাম. এইভাবে।” অর্থাৎ অভিনেত্রী বলতে চেয়েছেন তিনি নিজেকে রোদের থেকে বাঁচিয়ে ত্বকের রং ফর্সা করেছেন। আগে তিনি শুটিংয়ের জন্য রোদের মধ্যে বেপরোয়া হয়ে ঘুরতেন। তাই কালো হয়ে গিয়েছিলেন। এখন রোদ সম্পর্কে সচেতন হয়ে তার আসল রং ফিরে এসেছে।
কাজল আরও বলেছেন, আগে রোদের মধ্যে শুটিং করতে হত। তাই ট্যান পড়ে গিয়েছিল শরীরে। এখন তিনি আর বড় একটা রোদ লাগান না। তাই তার আগের রং ফিরে এসেছে। আর মেয়ে নায়সার হঠাৎ করে সুন্দর হয়ে ওঠা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন তার মেয়ে খুবই স্বাস্থ্য সচেতন। তিনি ভাল ভাল খাবার খান, ফল খান, আর নিয়মিত রূপচর্চা করেন। এতেই নাকি তিনি দিনে দিনে সুন্দরী হয়েছেন।