‘বিয়ের আগে যৌনসঙ্গম খুবই জরুরী’! নাতনিকে প্রেমে যৌনতার উপকারিতা বোঝালেন জয়া বচ্চন

হালফিলের দাদু-ঠাকুমাদের প্রজন্মের তুলনায় অনেক এগিয়ে জয়া বচ্চন (Jaya Bachchan)। নাতি-নাতনিদের সঙ্গে বেশ খোশমেজাজেই প্রেম, বিয়ে, যৌনতা নিয়ে আড্ডা দেন তিনি। তাও আবার ক্যামেরার সামনে! অমিতাভ বচ্চনের ঘরণীর এমন দিলখুশ মেজাজ দেখে চমকে যাচ্ছেন সকলে। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে শারীরিক ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে নাতনি নব্যা নভেলি নন্দাকে (Navya Naveli Nanda) পরামর্শ দেওয়ার পর এবার প্রেমশীর্ষক আলোচনায় উঠে এল বিয়ের আগে শারীরিক ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি।

লং ডিস্টেন্স রিলেশনশিপ, অর্থাৎ যে সম্পর্কে কাছের মানুষ থাকে অনেক দূরে সেই বিষয় নিয়ে এদিন নাতনির পডকাস্টে মুখ খুলেছিলেন জয়া। তিনি সরাসরিই বলেন সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য শারীরিক ঘনিষ্ঠতা খুবই জরুরী। ভারতে অবশ্য এখনও বিয়ের আগে শারীরিক ঘনিষ্ঠতাকে বাঁকা নজরে দেখা হয়। তবে এতে কোনও দোষ খুঁজে পান না জয়া। প্রাচীন ধ্যান-ধারণা আঁকড়ে থাকার মানুষ নন তিনি। এদিন স্পষ্ট করে বললেন সেই কথা।

amitabh jaya navya

জয়া বলেন একটা সম্পর্কে শারীরিক ঘনিষ্ঠতার গুরুত্ব অনেক। তিনি মনে করেন এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মধ্যে শারীরিক ঘনিষ্ঠতা নিয়ে কুন্ঠাবোধ থাকা উচিত নয়। সম্পর্কে পরস্পরের প্রতি ঘনিষ্ঠ হওয়াটাই স্বাভাবিক। ঘনিষ্ঠতা থাকলে তবেই সম্পর্ক মজবুত হবে। অল্প বয়সী মেয়েরা প্রাণ খুলে কথা বলতে সংকোচ বোধ করেন। কারণ সমাজ তাদের উপর জোর করে অনেক ধারণা চাপিয়ে দিয়েছে।

জয়ার কথায়, এই যুগে শারীরিক ঘনিষ্ঠতার প্রয়োজনীয়তা আছে। তবে তিনি এও বলেছেন তাদের সময়ে এমন সুযোগ ছিল না। জয়া নাতনিকে বলেছেন সম্পর্কে ঘনিষ্ঠতা প্রয়োজন। নয়তো সেই সম্পর্ক টেঁকে না। একটা সম্পর্কে শুধু ভালবাসা আর বোঝাপড়াই শেষ কথা নয়। নাতনির পডকাস্ট ‘হোয়াট দ্য হেল নব্যা’তে নাতনির মুখোমুখি বসে এমনই সব পরামর্শ দিয়েছেন জয়া।

তবে জয়াকে নিয়ে অবশ্য অন্য কথা বলছেন তার নিজের মেয়ে শ্বেতা বচ্চন নন্দা। দিদা হয়ে যাওয়ার পর দিলখুশ মেজাজে থাকলেও মা হিসেবে তিনি কিন্তু ভীষণ শক্ত ছিলেন। খুব কড়া হাতে ছেলেমেয়েদের মানুষ করেছেন জয়া। তিনি নাকি প্রয়োজনে ছেলেমেয়েদের গায়ে হাত তুলতেন। সেই জয়াই নাতনির সামনে বলছেন অন্য কথা। এর আগে বিয়ে সম্পর্কেও তিনি এমনই উদারনৈতিক কথা বলেছিলেন।

জয়া নাতনিকে বলেছিলেন যদি বিয়ে না করেও সন্তানের মা হতে চায় নব্যা, তাহলে তিনি দিদা হিসেবে তার পাশে থাকবেন। তিনি বলেন সবসময় নিজের খুব ভাল বন্ধুকেই জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেওয়া উচিত। যার সঙ্গে সবকিছু খোলামেলাভাবে আলোচনা করা যাবে। জয়া আরও বলেছিলেন, বিয়েটা সমাজ চায়। তবে তার নাতনি যদি বিয়ে না করেও সন্তানের মা হতে চায় তাহলে তাতে তার আপত্তি নেই।