একের পর এক রেকর্ড ভেঙ্গে চলেছে সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা, পরিচালিত ‘অ্যানিমেল’ (Animal)। রণবীর কাপুর এবং ববি দেওলের অসামান্য অ্যাক্টিং নজর কেড়েছে সকলের। তবে সব থেকে বেশি ভাইরাল হয়েছে ববি দেওলের এন্ট্রি সং, আর সেই গানের দৃশ্যে থাকা এক অভিনেত্রী। জামাল কুদু (Jamal Kudu) গানের দৃশ্যের অপরিচিত এই মুখটি হল তানাজ ডাভুডি (Tannaz Davoodi) -র। আজ আমরা জানবো ইরানের এই মডেল তথা অভিনেত্রীর সম্পর্কে কিছু অজানা কথা।
‘অ্যানিমেল’ সিনেমাটি যেমন একদিকে রণবীর কাপুরকে স্টার থেকে সুপারস্টার করে দিল কেমন অন্যদিকে ফিরিয়ে দিল তার পুরনো সাম্রাজ্য। লর্ড ববির এন্ট্রি সং জামাল কুদু ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রেন্ডিং সং হয়ে উঠেছে। সিনেমায় যে দৃশ্যে এই গানটি রয়েছে, সেই দৃশ্যে দেখা গেছে একটি মদের গ্লাস মাথায় নিয়ে নাচ করছেন ববি।
সিনেমার কোন ভিলেনের এমন এন্ট্রি যে হতে পারে তা এর আগে আমাদের জানা ছিল না। ববির তৃতীয় বিয়ের অনুষ্ঠানে ববি এবং তার ভাই জামাল কুদু গানের তালে তালে নাচ করছেন এবং এক পাশে দাঁড়িয়ে ১০ থেকে ১২ জন নারী গানটি গাইছেন। যারা ‘জামাল-কুদু’ গানটি গাইছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন ছোট থেকে বড় বেশ কয়েকজন অভিনেত্রী। তবে সবথেকে বেশি যিনি নজর কেড়েছেন, তিনিই হলেন তানাজ।
১৯৯৭ সালের ২৭ জুন ইডারে তেহরানে জন্ম নেন তানাজ। তানাজের বাবা ছিলেন পেশায় একজন সাংবাদিক। তানাজ ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে কোর্স করার পর বলিউডে নৃত্যশিল্পী হিসেবে কাজ শুরু করেন। Animal সিনেমায় পারফর্ম করার আগে ‘পাগলপান্তি’, ‘তু ঝুটি মে মক্কার’ সহ আরো বেশ কয়েকটি সিনেমায় ব্যাক ডান্সার হিসেবে পারফর্ম করেছেন।
আরও পড়ুন : ‘জামাল কুদু’ আসলে কোন দেশের গান? গানের উৎপত্তি হয় কীভাবে এবং মানে কী?
তানাজ কাজ করেছেন বরুণ ধাওয়ান, নোরা ফাতেহি, সানি লিওনি এবং জন আব্রাহামের মত শিল্পীদের সঙ্গে। তবে অ্যানিমেলের আগে বেশ কয়েকটি সিনেমায় পারফর্ম করলেও ‘জামাল কুদু’ গানের দৃশ্যে অভিনয় করে সব থেকে বেশি জনপ্রিয় হয়েছেন তিনি। এই গানটি তার জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।
আরও পড়ুন : ‘জামাল কুদু’ কথাটির বাংলা অর্থ কী, রইলো গানটির বাংলা অনুবাদ
গানটি মুক্তির আগে ইনস্টাগ্রামে এই ইরানি মডেলের ফলোয়ার সংখ্যা ছিল ১০ হাজার, যা রাতারাতি বেড়ে ৩ লাখ হয়ে যায়। ইরানি এই মডেল ‘জামাল কুদু ‘ গানে পারফর্ম করার পর বলিউডের মাটিতে যে নিজের মাটি শক্ত করে ফেলেছেন সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রসঙ্গত,ইরানের বিখ্যাত কবি বিজন সমাদ্দারের লেখা একটি কবিতাকে গানে রূপান্তর করা হয়। ১৯৫০ সালে প্রথম এই গানটি খারাজেমি গার্লস হাই স্কুলের মেয়েরা সমবেত কন্ঠে উপস্থাপিত করেছিলেন। বর্তমানে এই গানটির জনপ্রিয়তা এতটাই বেড়ে গেছে যে ইরানের প্রত্যেকটি বিবাহ অনুষ্ঠানে এই গানটি বাজানো হয় বাধ্যতামূলকভাবে।