অর্ণব-ঈপ্সিতার সম্পর্ক টিকবে না আগেই জানতেন, মেয়ের বিয়েতেও ছিল না মত! বিস্ফোরক ঈপ্সিতার মা

বাংলা সিরিয়ালের (Bengali Mega Serial) দুই জনপ্রিয় তারকা ঈপ্সিতা মুখোপাধ্যায় (Ipshita Mukherjee) এবং অর্ণব বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Arnab Banerjee) নিয়ে বিগত কয়েক মাস ধরেই স্টুডিও পাড়াতে নানা কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে। এই বছরের শুরুতেই তাদের বাগদান হয়ে গিয়েছিল। বছরের শেষেই সামাজিকভাবেও বিয়েটা হয়ে যেত। কিন্তু তার আগেই ঘটে গেল বিরাট এক ছন্দপতন। বছরের মাঝামাঝি সময়ে এসেই আলাদা হয়ে যান দুজনে।

কেন ভাঙলো অর্ণব-ঈপ্সিতার সম্পর্ক? সম্পর্ক ভাঙ্গার কথা স্বীকার করে নিলেও তার কারণটা সম্পর্কে মুখ খোলেননি এই দুই তারকা। আপাতত দুজনেই দুজনের মত নিজ নিজ কাজের দুনিয়াতে ব্যস্ত রয়েছেন। অর্ণব ‘আলতা ফড়িং’ ধারাবাহিকের নায়ক থেকে হয়ে উঠেছেন খলনায়ক। আর ঈপ্সিতা যেমন ‘এক্কাদোক্কা’ সিরিয়ালে আছেন, তেমনই টলিউডেও নিজের প্রভাব বিস্তার করছেন।

২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে রেজিস্ট্রি করে খাতায় কলমে দম্পতির তকমা পেয়ে গিয়েছিলেন ঈপ্সিতা এবং অর্ণব। তবে মাত্র কয়েক মাস পরেই তাদের দুজনের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। অর্ণব-ঈপ্সিতা তাদের সম্পর্ক নিয়ে মুখ না খুললেও এই বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন ঈপ্সিতার মা। দিদি নাম্বার ওয়ানে এসে ঈপ্সিতার মা জানান মেয়ের এই সম্পর্ক তার মোটেই পছন্দ ছিল না প্রথমে।

অর্ণবের সঙ্গে ঈপ্সিতার সম্পর্কটা প্রথম থেকেই নাকি মেনে নিতে পারেননি তার মা। মাকে অনেক সাধ্য সাধনা করে রাজি করিয়েছিলেন ঈপ্সিতা। শুধু মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়েই এই সম্পর্ক মানতে বাধ্য হয়েছিলেন ঈপ্সিতার মা। দিদি নাম্বার ওয়ানে এসে রচনার সামনে নিজের মনের কথাটা বলেই ফেললেন।

‘আলোছায়া’ সিরিয়ালের সেটে অর্ণব এবং ইপ্সিতার প্রেমের সূত্রপাত হয়। দেওর-বৌদি চরিত্রে অভিনয় করতে করতেই একে অপরকে মন দিয়ে বসেন তারা। তবে ঈপ্সিতার মা চেয়েছিলেন মেয়ে আর কিছুদিন পরে সম্পর্কে আসুক। এত তাড়াতাড়ি মেয়ে সিদ্ধান্ত নেবে এমনটা তিনি ভাবতে পারেননি। দু’বছর পেরিয়ে গেলেও যে সম্পর্কটা টিকে থাকবে এই ভরসা তার ছিল না।

রচনা ব্যানার্জীকে অভিনেত্রীর মা বলেন, “মেয়ে যেটা পছন্দ করবে সেটাকে আমাদেরও ভাল বলতেই হবে। আমি চেয়েছিলাম ও যেন আরও কিছুদিন পরে কোনও সম্পর্কে জড়ায়। এই সম্পর্ক টিকবে কিনা তা নিয়ে আমার প্রশ্ন আছে।” যেমনটা তিনি সন্দেহ করেছিলেন তেমনটাই ঘটল কয়েক মাসের মাথাতেই। তিনি সেদিন কথাগুলো মজার ছলে বললেও বাস্তবে তার কথা অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল।