‘কুছ কুছ হোতা হে’ ছবির হাত ধরে বলিউডে (Bollywood) প্রবেশ করেছিলেন রানী মুখার্জি (Rani Mukherjee)। যশ চোপড়া প্রোডাকশন হাউসের ব্যানারে প্রথম ছবি থেকেই রাতারাতি ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের ছাপ ফেলে দেন রানী। তারপর থেকেই কার্যত যশ চোপড়ার প্রোডাকশন হাউসের নায়িকা হয়ে ওঠেন তিনি। আর এই সিনেমার সেট থেকেই গড়ে ওঠে আদিত্য চোপড়ার (Aditya Chopra) সঙ্গে রানী মুখার্জির প্রেমের সম্পর্ক।
‘মুঝসে দোস্তি কারোগে’র শুটিং সেটে প্রথমবার আদিত্যকে দেখেছিলেন রানী। নেহা ধুপিয়ার চ্যাট শোতে প্রথমবার এই কথাটি প্রকাশ করেছিলেন রানী। এই ছবির প্রযোজনা করেছিলেন আদিত্য। বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্ট দাবি করে আদিত্য এবং রানীর মধ্যে সম্পর্কের গভীরতা এরপর এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে ‘বীরজারা’ ছবির শুটিং সেটে আদিত্যর জন্য বাড়ি থেকে খাবার বানিয়ে নিয়ে যেতেন রানী।
দুজনের মধ্যে যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে এই কথাটা বলিউডে লুকিয়ে থাকেনি। কথাটা যখন সর্বপ্রথম আদিত্যর বাবা-মা যশ চোপড়ার এবং পামেলা চোপড়ার কানে পৌঁছায় তখন তারা ভীষণ বিরক্ত হয়েছিলেন। তার কারণ আদিত্য ছিলেন বিবাহিত। রানীর সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে স্ত্রী পায়েল খান্নাকে ডিভোর্স দেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না আদিত্যর হাতে।
যদিও পায়েল অবশ্য খুব সহজে আদিত্যকে ডিভোর্স দিতে রাজি হননি। বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য তিনি মোটা টাকার খোরপোশ দাবি করেন আদিত্যর থেকে। তবে রানীর সঙ্গে আবার সংসার গড়ে তোলার স্বপ্ন পূরণ করতে প্রাক্তন স্ত্রীকে ৫০ কোটি টাকা খোরপোশ দিতে হয়েছিল আদিত্যকে। এই বিবাহবিচ্ছেদের মামলাটি দুই বছর চলেছিল।
স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়ার পাশাপাশি রানীর সঙ্গে প্রেম করার জন্য রানীর বাবা-মাকে প্রথমে রাজি করাতে হয়েছিল আদিত্যকে। তাদের থেকে অনুমতি নিয়ে তবেই রানীকে ডেট করতেন আদিত্য। অবশেষে পায়েলের থেকে ডিভোর্স নিয়ে ২০১৪ সালে তারা বিয়ে করেন। ২০১৫ সালের ৯ই ডিসেম্বর কন্যা সন্তানের জন্ম দেন রানী।
২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে রানী এবং আদিত্যর মেয়ে আদিরার সাত বছর পূর্ণ হল। মেয়েকে অবশ্য লাইন লাইটে আনতে পছন্দ করেন না রানী-আদিত্য দুজনেই। জন্মের পর থেকে তাকে খুব কম সময়ের জন্যই সংবাদ মাধ্যমের পাতায় দেখা গিয়েছে। এমনকি নেট মাধ্যমেও তার ছবি খুঁজলে তেমন পাওয়া যায় না। মেয়েকে নিয়ে প্রকাশ্যে খুব বেশি কথাও রানী বলেন না।