লিভারের ৭৫ শতাংশ নষ্ট, কঠিন রোগে আক্রান্ত অমিতাভ বচ্চন

ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় তারকাদের মধ্যে অন্যতম হলেন অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন। তিনি যে শুধু মাত্র‌ অভিনেতা নন, তিনি হলেন সুপারস্টার পৃথিবীর বহু মানুষ তাকে চেনে ‘শাহেনশাহ’ নামে। দীর্ঘকাল এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার পরেও তাকে প্রতিযোগিতা দেওয়ার মতো কোনও তারকার দেখা এখনও মেলেনি।

তবে অনেকেই হয়তো জানেন না যে অমিতাভ বচ্চনের লিভারের ২৫ শতাংশ কার্যকর। কিন্তু ৮০ বছর বয়সী এই প্রবীণ অভিনেতা এই কঠিন সমস্যা নিয়েও কাজ করে যাচ্ছেন। এই বয়সেও প্রতিদিন প্রায় ১৬ ঘন্টা টানা কাজ করেন তিনি। অনেকেই প্রশ্ন করেন যে এতটা ফিট কীভাবে নিজেকে‌ রেখেছেন তিনি।

AMITABH BACHCHAN

আসলে ব্যক্তিদের লিভার ক্ষতিগ্ৰস্থ হলে সঠিক সময় চিকিৎসা করলে লিভার আবার ধীরে ধীরে ঠিক হতে শুরু করে। কিন্তু বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে লিভার আবার ঠিক হওয়ার। সম্ভবনা কম থাকে। তবে এই লিভার কারণ হল সিরোসিস। তবে যদি অ্যাকটিভ লাইফস্টাইল থাকে তাহলে এর ফলে কোনও শারিরীক সমস্যা দেখা যাবে। এই কারণে অমিতাভ বচ্চনের কোনও সমস্যা হয়নি।

অমিতাভের ফিট থাকার রহস্য : এই জন্য অমিতাভ বচ্চন কফি ও আমিষ জাতীয় খাবার, কম খান। কড়া ডায়েট মেনে চলেন তিনি। রোজ তুলশীপাতা, ডাবের জল, আমলকীর জল, কলা, খেজুর জাতীয় খাবার খান তিনি। সেই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে জল খান তিনি। ধূমপান ও মদ্যপান থেকে দূরেই থাকেন তিনি। এখন আর ধূমপান করেন না তিনি। এছাড়াও প্রতিদিন সবচেয়ে জরুরি যেটা তিনি করেন সেটা হল শরীরচর্চা। প্রতিদিন সকালে উঠে যোগ ব্যায়াম করেন এবং দৌড়ান তিনি। এভাবেই নিজেকে ফিট রেখেছেন তিনি।

AMITABH BACHCHAN

লিভারের সিরোসিসের কারণ : লিভার সিরোসিসের অন্যতম কারণ হল অনিয়ন্ত্রিত ধুমপান এবং মদ্যপান। হিমোক্রোমাটোসিস বা শরীরে লোহার পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেকে সময় আলফা-১অ্যান্টিট্রিপসিনের মাত্রা হ্রাস পায় বা মধুমেহ রোগ যদি জন্ম থেকে থাকে তাহলে এই রোগ হতে পারে।

এছাড়াও নন ফ্যাটি লিভার এই রোগের একটি কারণ। বিলিয়ারি-আর্টেসিয়া হলে পিত্তনালী অস্বাভাবিক গঠন নেয়। এর ফলেও এই সমস্যা হয়। সিফিলিস জাতীয় যৌন সংক্রমণ ও প্রাইমারি বিলিয়ারি সিরোসিস অর্থাৎ পিত্তনালী ক্ষতিগ্ৰস্থ হলে এই রোগ হয়।

AMITABH BACHCHAN

লিভারের সিরোসিসের লক্ষণ : এই সমস্যা দেখা দিলে ত্বক ও চোখ হলুদ হয় যায়। পা-গোড়ালি ও পায়ের পাতা ফুলে যায়। বমিভাব, কান্তি, চুলকানি ও হাতের পাতা লাল হয় যায়। এছাড়াও খিদে কমে যায়, ওজন হ্রাস পায়, পেটে জল জমে যায়।