‘অন্যের এঁটো খাচ্ছি আমরা’, টলিউডে দক্ষিণের রিমেক বানানো নিয়ে বিস্ফোরক দেব

সেই ২০০৬ সাল থেকে টানা ২০২১, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে টলিউডে (Tollywood) রাজত্ব করছেন সুপারস্টার দেব (Dev)। পেছন ফিরে তাকালে আজ নিজেকে সাফল্যের শীর্ষে দেখতে পান তিনি। তবে টলিউডে প্রবেশের আগের জীবনটা বেশ সংগ্রাম করেই কাটাতে হয়েছিল তাকে। জীবনের এক পর্যায়ে বাবা গুরুপদ অধিকারীর খাবারের ব্যবসায় কাপ-প্লেট ধোয়া থেকে খাবার পরিবেশনের কাজ করতেন দেব।

আজ যখন টলিউড থেকে তিনি নাম, যশ, খ্যাতি সবই পেয়েছেন তখন আর পেছন ফিরে তাকাতে চান না। দেবের কথায়, “আমি পিছন ফিরে তাকাতে চাই না। সামনে এত কাজ। আমি যদি পিছনে তাকাতে গিয়ে সময় নষ্ট করি, অতীতে ভেসে গিয়ে যদি গর্ববোধ চলে আসে, অহংকার চলে আসে! খাবারওয়ালার ছেলে হিরো হয়ে গেল, এই ভাবনাটা মাথায় নিতে চাই না। আমার পথ চলা সবে শুরু হয়েছে। অনেকটা পথ এগিয়ে যেতে হবে। এখন পিছনে তাকালে সময় নষ্ট হবে। এগিয়ে যেতে পারব না।”

সিনেমাতে তার হাতে খড়ি হয়েছিল বলিউডে। যদিও অভিনয় নয়, ‘টারজান : দ্য ওয়ান্ডার কার’ ছবির সহকারি হিসেবে কাজ করেছিলেন তিনি। তারপর অভিনেতা থেকে সাংসদ, আজ প্রযোজক দেবের একের পর এক ছবি মুক্তি পাচ্ছে। তবে টলিউডের সিস্টেমের সঙ্গে তিনি মানিয়ে নিতে পারেন না। তিনি যখন ছবি করতে শুরু করেন, তখন টলিউডে রিমেক ছবির রমরমা চলছে। তাই নিজের মতো করে ছবি বানানোর উদ্দেশ্যে তিনি খুলে ফেলেন দেব এন্টারটেইনমেন্ট ভেঞ্চার্স।

দেবের কথায়, ‘‘বছরে যদি চারটি ছবি হত, তার মধ্যে তিনটির ডিভিডি আমাকে ধরিয়ে দেওয়া হত। বলা হত, এই ছবিগুলির রিমেক হবে বাংলায়। দুই অথবা তিন বছর পরে গিয়ে হয়তো ‘চাঁদের পাহাড়’-এর মতো একটি ছবি হত। যেখানে বিশ্ব চলচ্চিত্রের পরিসর এত প্রসারিত, সেখানে আর অন্যের নকল করা ছবি বানানোর মানে হয় না।’’ দেশের একাধিক ইন্ডাস্ট্রিতে যেখানে মৌলিক ছবির জোয়ার বইছে ‘‘সেখানে অন্যের এঁটো খাচ্ছি আমরা’’!

একা টলিউডের অভ্যন্তরেই নয়! গোড়ায় গলদ রয়েছে কলকাতার ডিস্ট্রিবিউটর এবং প্রেক্ষাগৃহ নিয়েও। প্রেক্ষাগৃহে নিজের ছবির জায়গা করে নিতে রীতিমতো লড়াই করতে হয় তাকে। তাকে নাকি এও শুনতে হয়েছে, “আমাকে জিজ্ঞাসা করে ছবি মুক্তির দিন ঠিক করেছ?” দেবের সপাটে জবাব, ‘‘রণবীর সিংহের ৮৩ কি আপনাকে জিজ্ঞাসা করে মুক্তির তারিখ ঠিক করেছে? তা তো নয়। তা হলে বাংলা ছবির ক্ষেত্রেই কেন শুনতে হবে এ কথা?’’