কোটি কোটি টাকা রোজগার করেও খেতে পান না কিছুই! মুকেশ আম্বানির খাদ্যতালিকা দেখলে চমকে যাবেন

দেশ তথা এশিয়ার ধনীতম ব্যবসায়ী মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)। ভারতবর্ষের সবথেকে দামি বাড়ি অ্যান্টিলিয়াতে পরিবার নিয়ে রাজারহালেই থাকেন তিনি। তার গাড়ি, বাড়ি, থেকে নিরাপত্তা, সব রাজার মত। তিনি এবং তার পরিবারের লাইফস্টাইল সাধারণের কৌতূহল প্রবল। পৃথিবীর সমস্ত দামি জিনিস রয়েছে তার এবং তার পরিবারের কাছে। এমন একজন মানুষ সারা দিনে কী কী খান সেই নিয়েও সাধারণের মধ্যে অনেক জল্পনা রয়েছে।

অনেকেই ভাবেন সোনার থালা, রুপোর বাটিতে বিশ্বের সমস্ত দামী দামী খাবারই হয়ত খান মুকেশ আম্বানি। তবে আসল সত্যিটা জানলে চমকে যাবেন আপনি। প্রতি মিনিটে মিনিটে কোটি কোটি টাকা রোজগার করেন যিনি, বাস্তবে তার ডায়েট চার্ট শুনলে বিষম খেতে পারেন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম দাবী করে, মুকেশ আম্বানি দিনে শুরুতে তাজা পেঁপের রস খান। এক গ্লাস পেঁপের রস দিয়ে দিনের শুরুটা করার এই অভ্যাস তিনি তার বাবা ধীরুভাই আম্বানির থেকে পেয়েছেন।

এরপর দিনের অন্যান্য বিভাগে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তিনি স্যুপ এবং স্যালাড খেয়ে থাকতেই পছন্দ করেন। এভাবে তিনি তার শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখেন। দুপুরের লাঞ্চ হোক বা রাতের ডিনার, আপাদমস্তক গুজরাটি খাবার-দাবারই তার পছন্দ। বাড়িতে রান্না করা রুটি, তরকারি এবং ডাল পেলে তিনি আর কিছুই চান না। আর হ্যাঁ, আম্বানী পরিবার কিন্তু নিরামিষাসী। তারা মাছ, মাংস, ডিম কিছুই খান না।

গুজরাটি খাবারের পাশাপাশি দক্ষিণ ভারতীয় বিভিন্ন খাবারও মুকেশ আম্বানীর পছন্দের তালিকায় থাকে। বাইরের খাবারের মধ্যে তার পছন্দ তাজ কোলাবার চাট, স্বাতী স্নাক্সের পানাকি এবং মাইসোর ক্যাফে মাটুংগা থেকে ইডলি-সাম্বার তার বিশেষ পছন্দের খাবার। সাধারণত বাইরের খাবারের তুলনায় ঘরের খাবারই তিনি বেশি পছন্দ করেন।

বাইরের খাবার খাওয়ার জন্য সপ্তাহান্তে একটি দিন বরাদ্দ রেখেছেন তিনি। ওই দিনটিতে তিনি তার পরিবার নিয়ে বেরিয়ে পড়েন এবং সেদিন রেস্তোরাঁতেই পরিবারের সঙ্গে বসে খাবার খান। দুপুরে মাঝেমধ্যে রুটি-সবজি বা ডাল-ভাত ছেড়ে ধোসা খেতেও পছন্দ করেন তিনি। বাড়িতে রান্নার কাজের জন্য দেশ-বিদেশের নামি দামি সেফদের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দিয়ে এনে রেখেছেন মুকেশ।

মুকেশ আম্বানির বাড়ির কর্মচারী থেকে শুরু করে রাঁধুনিদের বেতন জানলে চমকে যাবেন। শোনা যায় তিনি বাড়িতে খাবার রান্না করার জন্য রাঁধুনিদের প্রতি মাসে দুই লক্ষ টাকা বেতন দিয়ে থাকেন। সেই সঙ্গে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও পান তারা। শোনা যায়, আমদানি পরিবারে নাকি ৬০০ জন চাকর করেছেন। এদের প্রত্যেকের বেতন যেকোনও কর্পোরেট সংস্থার কর্মচারীদের তুলনায় অনেক বেশি।