বলিউডের (Bollywood) এভারগ্রিন অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের (Amitabh Bachchan) লাভ লাইফ নিয়ে চর্চার শেষ নেই কোনও। বলিউডের তাবড় তাবড় অভিনেত্রী তার প্রেমে হাবুডুবু খেলেও বরাবর বাংলার কন্যেই তার পছন্দ। তিনি বিয়েও করেছেন বাংলার মেয়ে জয়া ভাদুড়ীকে (Jaya Bhaduri)। বাংলার প্রতি তার যেন একটা আলাদাই দুর্বলতা রয়েছে। কারণ এখানেই যে তিনি তার জীবনের প্রথম প্রেমের সন্ধান পেয়েছিলেন।
না, অমিতাভের জীবনের প্রথম প্রেম জয়া নন। কিন্তু তিনি তার প্রথম প্রেমেরও সন্ধান পেয়েছিলেন কলকাতাতেই। অমিতাভের জীবনের একটা বড় স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে কলকাতার সঙ্গে। অমিতাভ বচ্চন বলিউডে তার কেরিয়ার শুরু করার আগে কলকাতার একটি শিপ ইয়ার্ডে চাকরি করতেন। সেখানেই নাকি তিনি এক সাধারণ মেয়ের প্রেমে পড়েন।
চাকরি জীবনে এলাহাবাদ থেকে কলকাতাতে এসেছিলেন অমিতাভ। এখানেই তিনি নিজের সহকর্মীর প্রেমে পড়েন। সেই মেয়ের নাম ছিল চন্দা। তিনি জন্মসূত্রে একজন মারাঠি। প্রথম জীবনে চন্দার প্রেমেই হাবুডুবু খেয়েছেন অমিতাভ। শোনা যায়, একটি থিয়েটারে অমিতাভ এবং চন্দার প্রথম আলাপ হয়েছিল। তারা যে একই সংস্থায় চাকরি করেন সেটা তারা জানতেন না।
আলাপের পর তারা তিন বছর সম্পর্কে ছিলেন বলে জানা যায়। এমনকি এই সম্পর্ক বিয়ে পর্যন্ত এগিয়ে গিয়েছিল। তবে শেষমেষ বিয়েটা আর হয়ে ওঠেনি। আচমকাই তাদের প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। তখন ব্রেকআপের ধাক্কা সামলে উঠতে কলকাতা ছেড়ে চলে আসেন মুম্বাইতে। এরপরই অমিতাভের এক নতুন জীবন শুরু হয় বলিউডে।
কাজেই বলা যায় অমিতাভের তারকা হয়ে ওঠার পেছনে চন্দার পরোক্ষে বেশ হাত ছিল। কলকাতা থেকে মুম্বাইতে এসে অমিতাভ মন দিয়ে অভিনয় শিখতে শুরু করেন। তবে বলিউডে প্রবেশ করতেই পরপর বেশ কয়েকটি ছবি ফ্লপ হয় তার। শেষমেষ ‘জঞ্জির’ ছবিতে অমিতাভ-জয়ার জুটি দর্শকদের ভাল লেগে যায়। একইসঙ্গে বাস্তবেও তারা একে অপরের প্রেমে পড়েন।
এরপর মহা ধুমধাম করে জয়া এবং অমিতাভের বিয়ে হয়ে যায়। যদিও সংসার জীবনে অবশ্য আবার রেখাকে নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝড় ওঠে। রেখার সঙ্গে অমিতাভের সম্পর্ক ইন্ডাস্ট্রির ওপেন সিক্রেটের মত। সে কথা জয়ার কানে পৌঁছতেই তিনি শক্ত করে সংসারের হাল ধরেন। শত বাধা বিপত্তির মাঝেও প্রায় ৫০ বছর বিবাহিত জীবন অতিবাহিত করে ফেললেন অমিতাভ-জয়া।