বয়স ১৮ হয়নি, বউ, মা, শাশুড়ি হয়ে বসেছেন বাংলা সিরিয়ালের এই সুন্দরীরা

বাংলা টেলিভিশনে এমন অনেক অভিনেত্রী রয়েছেন যারা তাদের অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছেন। বিশেষত বাংলা ধারাবাহিকের নায়িকারা হয়ে ওঠেন দর্শকদের ঘরের মেয়ে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এরা অত্যন্ত কম বয়সে টেলিভিশনের পর্দায় পা রাখেন। যখন তারা প্রথমবার অভিনয়ের সুযোগ পান তখন অনেকেরই বয়স ১৮ পূর্ণ হয় না। আজ এই প্রতিবেদনে বাংলা টেলিভিশনের (Bengali Telivision Actress) এমন ৪ নায়িকার কথা বলব যারা ১৮ বছর পূরণ হওয়ার আগেই অভিনয়ের কেরিয়ার শুরু করেছেন।

মোহনা মাইতি (Mohona Maity) : এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের সবথেকে খুদে অভিনেত্রী বলা চলে তাকে। জি বাংলার ‘গৌরী এল’ ধারাবাহিকে নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। বাস্তবে কিন্তু তার বয়স এখনও ১৬ পার হয়নি। এখনও তিনি স্কুলেই পড়াশোনা করেন। এই বছর মাধ্যমিক দেবেন তিনি। তবে মোহনা তার অভিনয় দিয়ে ধারাবাহিকটিকে টিআরপি তালিকাতে এগিয়ে রাখছেন।

All You Need to Know about Gouri Elo Serial Actress Mohona Maity

আরাত্রিকা মাইতি (Aratrika Maity) : জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘খেলনা বাড়ি’র অভিনেত্রী আরাত্রিকারও কিন্তু বয়স খুব একটা বেশি নয়। তিনি এখন মাত্র ক্লাস ইলেভেনে পড়াশোনা করছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি পড়াশোনাটাও করে যাচ্ছেন তিনি। পর্দাতে তাকে আবার একটি ৭-৮ বছরের বাচ্চা মেয়ের মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যায়।

শ্যামৌপ্তি মুদলি (Shyamoupti Mudli) : বাংলা ধারাবাহিকে বেশ কয়েক বছর ধরে অভিনয় করছেন তিনি। মাত্র ১৩ বছর বয়সে তিনি অভিনয়ে পা রাখেন। ‘বাজলো তোমার আলোর বেণু’, ‘ধ্রুবতারা’র পর এখন ‘গুড্ডি’ ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন তিনি। বাংলা ধারাবাহিকের সৌজন্যে ইতিমধ্যেই তিনি কারও স্ত্রী হয়েছেন, আবার কারও মা হয়েছেন।

দিতিপ্রিয়া রায় (Ditipriya Roy) : দিতিপ্রিয়া রায় তার অভিনয়ের মাধ্যমে দীর্ঘ চার বছর এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন একটি ধারাবাহিক। তিনি আসলে খুব ছোট বয়স থেকেই অভিনয় করছেন। তবে স্কুলের গণ্ডি পেরানোর আগে তিনিই হয়ে উঠলেন করুণাময়ী রানী রাসমণি ধারাবাহিকের নায়িকা। এই চরিত্রে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ময়দানে টিকে থেকেছেন তিনি।

এই একটি ধারাবাহিকেই তিনি হয়েছেন কারও স্ত্রী, কারও মা, কারও শাশুড়ি মা, এমনকি কারও দিদিমা পর্যন্ত হতে হয়েছে তাকে। বয়সের চেয়ে বড় সহ অভিনেতাদের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক পর্দাতে নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। ২০২০ সালে ধারাবাহিক চলাকালীনই তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেন এবং পাশ করেন। বর্তমানে তিনি আশুতোষ কলেজের সোশিওলজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।