বাথরুমের মধ্যেই আস্ত সমুদ্র, মুকেশ পত্নী নিতার বাথরুম পৃথিবীর সবথেকে সুন্দর স্নানঘর

ভারত তথা এশিয়া তথা সমগ্র বিশ্বের ধনকুবেরদের মধ্যে অন্যতম নাম হল মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)। রিলায়েন্স গোষ্ঠীর কর্ণধারের ব্যবসা ছড়িয়ে রয়েছে গোটা পৃথিবীজুড়ে। সারা পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তার সম্পত্তি। তবে এই ভারতীয় ব্যবসায়ী তার স্ত্রী এবং পরিবার নিয়ে বসবাস করেন মুম্বাইতে। মুম্বাইয়ের সবথেকে সুন্দর প্রাসাদ ‘এন্টিলিয়া’তে তাদের বাস।

এই এন্টিলিয়া শুধু ভারতেরই নয়, গোটা পৃথিবীর মধ্যে সবথেকে সুন্দর আবাসন বলে গণ্য করা হয়। মুম্বাই এমনকি গোটা ভারতবর্ষেও এমন কোনও লাক্সারি বস্তু নেই যেটা এন্টিলিয়াতে নেই। এমনকি এন্টিলিয়ার অন্দরমহল খুঁজলে বিদেশেরও নানা লাক্সারি সামগ্রী এবং প্রযুক্তি পাওয়া যাবে। তবে আজ এই প্রতিবেদনে আপনাদের ঘুরিয়ে দেখাব মুকেশ আম্বানির স্ত্রী নিতা আম্বানির (Nita Ambani) সুসজ্জিত বাথরুমের অন্দরমহল।

বিশ্বের সবথেকে দামি বাড়ি, দামি গাড়ি তো বটেই, আম্বানি পরিবারের কাছে বিলাসিতার সমস্ত সামগ্রী রয়েছে। তাদের আবাসনের প্রত্যেকটি ঘর যেমন সুসজ্জিত তেমনই বাথরুমের অন্দরসজ্জা দেখলেও তাক লেগে যায়। মুকেশ আম্বানির স্ত্রী হওয়ার দরুণ নিতা আম্বানিও থাকেন রানীর মত। ২৭ তলা বিল্ডিংয়ের এন্টিলিয়াতে সব থেকে সুন্দর যে বাথরুমটি রয়েছে তা নিতার জন্য বরাদ্দ হয়েছে।

এন্টলিয়াতে নিতা আম্বানির বাথরুমে রয়েছে উন্নত প্রযুক্তিতে তৈরি লাক্সারি ফিচার। এটি হল একটি স্বয়ংক্রিয় বা অটোমেটিক বাথরুম। এখানে প্রযুক্তির সাহায্যে তাপমাত্রা থেকে শুরু করে সাওয়ারের জল সবই সেট করা যায়। এছাড়া এটি হল নেচার ফ্রেন্ডলি বাথরুম। অর্থাৎ স্নানের সময় আপনি আপনার পছন্দমত পরিবেশ তৈরি করে নিতে পারবেন। কম্পিউটারের সাহায্যে বাথরুমের দেওয়ালে ফুটিয়ে তুলতে পারবেন আপনার পছন্দের দৃশ্য।

বাথরুমের দেওয়ালগুলিতে লাগানো আছে স্ক্রিন। সেখানে নিজের ইচ্ছেমত চিত্র ফুটিয়ে তোলা যায়। নিতা আম্বানির বাথরুম আবার সাউন্ড টাইপ। তিনি এমন বাথরুম ব্যবহার করতেই পছন্দ করেন। তাই তার জন্য রয়েছে সেই বিশেষ ব্যবস্থা। এমন বাথরুমের মধ্যে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটানো যায়। রিলাক্সেশনের জন্য এখানে সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে।

এছাড়াও এন্টিলিয়াতে রয়েছে প্রাইভেট মুভি থিয়েটার, যেখানে ৫০ জন বসে ছবি দেখতে পারবেন। এন্টিলিয়ার মধ্যে রয়েছে সুইমিং পুল, জাকুজি, ডান্স স্টুডিও, যোগা সেন্টার, স্পা, জিম, আইসক্রিম পার্লার, কার পার্কিং, লিফট, গার্ডেন, হেলিপ্যাড, আইস হাউস ইত্যাদি আরও নানা সুযোগ-সুবিধা। এখানে প্রায় ৬০০ জন কর্মচারী রাখা হয়েছে যারা এন্টিলিয়ার ও মুকেশ আম্বানির পরিবারের সদস্যদের দেখভাল করেন।