গোটা বিশ্ব আজ গুগল (Google) নির্ভর। পৃথিবীর সবথেকে শক্তিশালী এবং জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিনের কর্ণধার যে মানুষটা তিনি একজন ভারতীয়। গোটা বিশ্ব আজ সুন্দর পিচাইয়ের (Sundar Pichai) নামের সঙ্গে পরিচিত। তিনি গুগলের সিইও। ভারতের মাদুরাই শহরের সুন্দর পিচাই খড়্গপুর আইআইটি থেকে পাশ করে আজ গুগলের সিইও হয়ে বসেছেন।
সম্প্রতি সুন্দর পিচাই তার বেতনের অংকের কারণে লাইম লাইটে উঠে এসেছেন। গুগলের মত একটি প্রতিষ্ঠানের সিইও বলে কথা, সুন্দর পিচাইয়ের বেতন তাই আকাশ ছোঁয়া। কিছুদিন আগেই গুগল থেকে ১২০০০ কর্মী ছাঁটাই করে দেওয়া নিয়ে বেশ সমালোচনা হয়েছিল। তবে গুগলের দুরবস্থা সত্বেও সুন্দর পিচাইয়ের বেতনের অংকে টান পড়েনি।
২০২২ সালে সুন্দর পিচাই ২২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বেতন হিসেবে পেয়েছিলেন গুগল থেকে। ভারতীয় মুদ্রায় অংকটা ১৮৫৪ কোটি টাকাতে গিয়ে দাঁড়ায়। বেতন সহ সমস্ত সুযোগ সুবিধা মিলিয়ে তিনি তার সংস্থা থেকে এই পরিমাণ অর্থ পেয়েছেন। গুগলে অবশ্য তার ২১৮ কোটি টাকার শেয়ারও রয়েছে।
সুন্দর পিচাইয়ের গত বছরের বেতনের অংক প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে প্রযুক্তির দুনিয়াতে। তার বেতন বর্তমানে গুগলের অন্যান্য কর্মচারীদের থেকে ৮০০ গুণ বেশি। সম্পদের এমন অসম বন্টন নিয়ে গুগলের দিকে প্রশ্নের আঙ্গুল তুলতে শুরু করেছেন অনেকেই।
কেউ কেউ আবার এর বিরোধিতাও করছেন। কিছুদিন আগেই যেখানে সংস্থার খরচ বাঁচানোর জন্য ১২ হাজার কর্মীকে হঠাৎ করে ছাঁটাই) করে দেওয়া হয়েছে সেখানে সংস্থার সিইওর এত বেতন জেনে চোখ কপালে উঠেছে গোটা দুনিয়ার। কিন্তু পালটা জবাবে বিষয়টাকে সমর্থন করে কেউ কেউ সুন্দর পিচাইয়ের হয়েই মুখ খুলছেন।
প্রযুক্তির দুনিয়াতে নতুন পথের দিশারী হলেন ভারতের সুন্দর পিচাই। গুগল সংস্থার প্রতি তার অনেক অবদান রয়েছে। তাই তার মত একজন ব্যক্তিত্বকে ধরে রাখার জন্য গুগল যে অনেক টাকা বেতন দেবে সেটাই স্বাভাবিক। যেকোনও সংস্থার সিইওর বেতন অন্যান্য কর্মচারীদের তুলনায় কয়েক গুণ বেশিই হয়। সেই সংস্থা যদি হয় গুগল, তাহলে তো তার সিইওরবেতন এমনই হবে।