৯০ এর দশক থেকে শুরু করেই বলিউডের (Bollywood) বিভিন্ন বাণিজ্যিক সিনেমাতে কখনো মা, কখনো শাশুড়ি মা, কিংবা কখনো দিদিমার ভূমিকাতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে ফরিদা জালালকে (Farida Jalal)। তার অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়েছেন দর্শকরা। কখনো শাহরুখ খান, কখনো অক্ষয় কুমার, সানি দেওল, অনিল কাপুর থেকে গোবিন্দার মায়ের ভূমিকাতে অভিনয় করেছেন তিনি। কিন্তু তবুও তার মনে আক্ষেপ কিছু কম নেই।
ফরিদা জালাল, বলিউডের এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর অভিনয় ক্ষমতা সম্পর্কে আলাদা করে বলার কিছু নেই। ১৯৬৭ সালের ‘তকদির’ সিনেমার মাধ্যমে ফরিদা অভিনয় জগতে পা রাখেন। এরপর তিনি বেশ কিছু ছবিতে প্রধান নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেন। তারপর পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করতে শুরু করেন। ৯০ এর দশক থেকে তাকে বেশিরভাগ সিনেমাতে মা ও দিদিমার ভূমিকাতে অভিনয় করতে হয়েছে।
ফরিদার কেরিয়ারের বেশিরভাগ ছবিতেই তাকে কেবল মা এবং দিদিমার মত পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করতে হয়েছে। যেখানে তার বয়সের অভিনেতা অনুপম খের, অমরেশ পুরীরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র পেয়েছেন ছবিতে, সেখানে ফরিদাকে পরিচালকরা এমন কোনও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে ভাবতেই পারেননি। তিনি এখনো মনের মতো চরিত্র পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
ফরিদা ই টাইমসকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমি একটি চ্যালেঞ্জিং চরিত্রের জন্য অপেক্ষা করছি। যেখানে আমি আমার বহুমুখী দিকটি দেখাতে পারি। আমি মনে করি মায়ের ভূমিকা হলেও সেটা দাঁড়াতে পারে। আমার জন্য দিদিমার ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি আরও বলেন, “আমি দুঃখিত যে নির্মাতারা মনে করেন না আমি এর থেকে বেশি কিছু করতে পারি। আমি উত্তেজক কিছু করতে চাই।”
অনুপম খের এবং অমরেশ পুরীর প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেছেন তারাও তাদের কেরিয়ারে খলনায়কের পাশাপাশি কমেডি চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তারা শুধু পর্দায় বাবা কিংবা দাদার চরিত্রে সীমাবদ্ধ ছিলেন না। কিন্তু ফরিদা যেন ইন্ডাস্ট্রিতে টাইপ কাস্ট হয়ে গিয়েছেন। এত দক্ষ একজন অভিনেত্রীর পক্ষে এটা কষ্ট দায়ক।
আরও পড়ুন : কোথায় হারিয়ে গেলেন জারিন খান? নষ্ট কেরিয়ারের জন্য কাকে দায়ী করেন সালমানের নায়িকা?
উল্লেখ্য, ফরিদা জালালকে সম্প্রতি সঞ্জয় লীলা বানসালির ‘হীরা মান্ডি’ ওয়েবসিরিজে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল। এখানে তিনি তাহ শাহের দিদিমার ভূমিকাতে অভিনয় করেছিলেন। দর্শকরাও ফরিদাকে আরও নতুন নতুন চরিত্রে অভিনয় করতে দেখতে চান।