বলিউড (Bollywood) প্রযোজক তথা পরিচালক ফারহা খানকে (Farha Khan) এখন এক ডাকে কে না চেনেন? দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর ধরে তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে নানা দিকে সুনাম পেয়েছেন। কখনও নাচের কোরিওগ্রাফার হিসেবে, কখনও বা পরিচালক হিসেবে, কখনও তো আবার প্রযোজক ফারহা খান অভিনেত্রী হয়েও ক্যামেরার সামনে এসেছেন। তবে তার এত সাফল্যের মধ্যেও কিন্তু রয়েছে একটা অজানা অন্ধকার দিক।
আজ বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে কোরিওগ্রাফার, পরিচালক, প্রযোজক তথা অভিনেত্রী হিসেবে এত বেশি সফল হলেও ফারহা খানের ছোটবেলাটা কিন্তু ছিল খুবই কষ্টের। যদিও তার জন্ম হয়েছিল ফিল্মি পরিবারে। কিন্তু বলিউডে নিজের ভিত গড়ে তোলার জন্য প্রতি মুহূর্তে সংগ্রাম করেছেন ফারহা। সম্প্রতি একটি রিয়েলিটি শোতে এসে ছোটবেলা সম্পর্কে মুখ খুলেছিলেন ফারহা।
ফারহা এবং সাজিদ খানের বাবা কামরান বলিউডের একজন প্রযোজক ছিলেন। ‘অ্যায়সা ভি হোতা হ্যায়’ নামের একটি ছবি তিনি পরিচালনার পাশাপাশি প্রযোজনা করেছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। এই ছবি বানাতে গিয়ে ফারহার বাবা প্রচুর অর্থ খরচ করেছিলেন। কিন্তু ছবি ফ্লপ হতেই তিনি অথৈ জলে পড়ে যান। গয়না বিক্রি করেও ঋণ পরিশোধ করতে পারেননি তারা। শেষমেষ কামরানকে বাড়ি বিক্রি করে দিতে হয়।
নিজেদের মাথা গোঁজার শেষ আস্তানাটুকুও বিক্রি করে দেওয়ার আঘাত সহ্য করতে পারেননি ফারহার বাবা। তিনি এই আঘাত সহ্য করতে না পেরে প্রয়াত হন। সেই সময় ফারহা এবং তার ভাই সাজিদ খানের উপরই সংসার সামলানোর সমস্ত দায়িত্ব এসে পড়ে। জীবনের ওই পর্যায়ে টানা ৬ টি বছর একটা ছোট গুদাম ঘরেই দিন কাটিয়েছেন ফারহার পরিবার।
কলেজে পড়ার সময় মাইকেল জ্যাকসনের ‘থ্রিলার’ মিউজিক ভিডিও দেখে নাচের প্রতি ফারহার আগ্রহ জন্মায়। নিজে থেকে নাচ শিখে একটি নাচের দল তৈরি করে নিয়েছিলেন তিনি। তারপর ১৯৯২ সালে ‘জো জিতা ওহি সিকান্দার’ নামের একটি ছবির মারফত ইন্ডাস্ট্রিতে কোরিওগ্রাফার হিসেবে প্রবেশ করেন ফারহা। এরপর তাকে আর ঘুরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক ছবি থেকে কাজের সুযোগ এসেছিল তার জন্য।
ফারহা এরপর ২০০৪ সালে ডিরেক্টর হিসেবে নতুন যাত্রা শুরু করেন। ম্যায় হু না, তিস মার খান, ওম শান্তি ওম, হ্যাপি নিউ ইয়ারের মত একাধিক হিট সিনেমা তিনি পরিচালনা করেছেন। সেই সঙ্গে প্রযোজক হিসেবেও তার সুনাম রয়েছে। ফারহা একাধিক ছবিতে নিজেও অভিনয় করেছেন। ‘শিরিন ফারহাদ কি তো নিকল পড়ি’তে বোমান ইরানির সঙ্গে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তিনি।