বাংলা সিরিয়াল দেখার থেকে কার্টুন দেখা ভাল! বাংলা ধারাবাহিক নিয়ে চরম অসন্তুষ্ট লিলি চক্রবর্তী

বাংলা বিনোদনের দুনিয়ার একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে সিরিয়ালগুলো ‍(Bengali Mega Serial)। আগে একটা সময় ছিল যখন একেকটি সিরিয়াল ৪-৫ বছর, এমনকি ১০-১২ বছর ধরেও চলেছে। তবে হালফিলে বেশিরভাগ সিরিয়াল এক বছরের গণ্ডি পার হতে পারছে না। এর একটা বড় কারণ ধারাবাহিকের বিষয়বস্তু। বাংলা ধারাবাহিকের বেশিরভাগ বিষয়বস্তু দর্শকদের মন ছুঁতে পারছে না।

বর্তমান বাংলা সিরিয়ালের বিষয়বস্তু নিয়ে খুশি নন বর্ষিয়ান অভিনেত্রীরাও। এবার এই বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন ‘নিম ফুলের মধু’র (Neem Phuler Modhu) অভিনেত্রী লিলি চক্রবর্তী (Lili Chakraborty)। বহু বছর ধরে টলিউড ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত তিনি। একসময় উত্তম কুমার, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়দের সঙ্গে বড় পর্দায় অভিনয় করেছিলেন লিলি। এরপর বিগত কয়েক বছর ধরে তাকে একাধিক বাংলা সিরিয়ালে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে।

বর্তমানে জি বাংলার “নিম ফুলের মধু’ সিরিয়ালে ঠাম্মির ভূমিকায় অভিনয় করছেন লিলি চক্রবর্তী। এই ধারাবাহিকে সৃজন এবং পর্ণার ঠাকুমার ভূমিকায় তাকে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে কৃষ্ণার শাশুড়ি মায়ের ভূমিকাতেও অভিনয় করছেন তিনি। ৮১ বছর বয়সী অভিনেত্রী মনে করেন বাংলা সিরিয়াল দেখার থেকে কার্টুন দেখা ভাল।

সম্প্রতি এই সময় ডিজিটালের কাছে এই বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছিলেন অভিনেত্রী। তিনি জানিয়েছেন মাঝে একসময় তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছিলেন আর বাংলা সিরিয়ালে অভিনয় করবেন না। তাই বিগত বেশ কয়েক বছর তাকে ছোট পর্দাতে আর দেখাও যায়নি সেভাবে। কিন্তু তার কাছে যখন ‘নিম ফুলের মধু’র প্রস্তাব এসে পৌঁছায় তখন তিনি না করতে পারেননি।

সংবাদ মাধ্যমের কাছে খোলামেলা আলোচনা করার সময় তিনি স্পষ্টতই জানিয়ে দেন তিনি মনে করেন বাংলা সিরিয়াল দেখার তুলনায় কার্টুন দেখা ভাল। দীর্ঘ ৬২ বছরের অভিনয়ে জীবন থেকে এমনই অভিজ্ঞতা হয়েছে তার। লিলি চক্রবর্তী পুরনো যুগের অসংখ্য হিট ছবিতে অভিনয় করেছেন। তিনি তার অভিনয় জীবনে উত্তম কুমার, তুলসী চক্রবর্তী, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় থেকে অমিতাভ বচ্চনদের সান্নিধ্যে আসারও সুযোগ পেয়েছিলেন।

‘ভানু পেল লটারি’ ছবির হাত ধরেই টলিউডে প্রবেশ করেছিলেন লিলি চক্রবর্তী। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শেষ ছবিতেও অভিনয় করেছেন তিনি। ‘নিম ফুলের মধু’ সিরিয়ালের প্রথম এপিসোডে তার জলে ডুবে যাওয়ার দৃশ্য ছিল। সাঁতার না জেনে ডুবে যাওয়ার দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে তিনি বেশ ভয় পেয়েছিলেন বলেই জানিয়েছেন সংবাদ মাধ্যমের কাছে।