সদ্য ৪১ বছর বয়সে পা রাখলেন বলিউড (Bollywood) অভিনেত্রী দিয়া মির্জা (Diya Mirza)। বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে তার প্রায় দুই দশক অতিক্রান্ত হয়েছে। ২০০১ সালে ‘রেহেনা হে তেরে দিল মে’ ছবির হাত ধরে তিনি বলিউডে প্রবেশ করেছিলেন। এরপর তিনি একাধিক ছবিতে কাজের সুযোগ পান। যদিও বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী হয়ে উঠতে পারেননি দিয়া।
দিয়া মির্জাকে আজ পর্যন্ত যে নামে চিনেছেন তার ভক্তরা সেটা আসলে তার নামই নয়। মির্জা তার আসল পরিচয় কিংবা উপাধি নয়। তার আসল নাম দিয়া হ্যান্ডরিচ। দিয়ার মা একজন হিন্দু বাঙালি, বাবা ছিলেন জার্মান। এমনকি তার স্বামীও মুসলিম নন। তবুও অভিনেত্রী কেন মুসলিম উপাধি ব্যবহার করেন জানেন?
দিয়ার বাবা ফ্র্যাঙ্ক হ্যান্ডরিচ এবং তার মা একে অপরকে ভালবেসে বিয়ে করেন। কিন্তু জীবনে কখনও বাবার উপাধি ব্যবহার করেননি দিয়া। তার বয়স যখন ছিল ৬ বছর তখন বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তাই বাবাকে জ্ঞানত সেভাবে কাছে পাননি তিনি। বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের তিন বছর পরই দিয়ার বাবা মারা যান।
এরপর দিয়ার মা আজিজ মির্জা নামের একজন ব্যক্তিকে বিয়ে করেন। এই আজিজ মির্জা সম্পর্কে দিয়ার সৎ বাবা হলেও তিনি তাকে নিজের মেয়ের মত আগলে রেখেছিলেন। দিয়াও তার সৎ বাবাকে খুবই ভালবাসেন। তাই তিনি মির্জা উপাধিটি গ্রহণ করেন। কিন্তু আজিজ মির্জাকেও খুব বেশিদিন কাছে পাননি দিয়া।
২০০৪ সালে আজিজ মির্জার মৃত্যু হয়। এরপর ২০১৪ সালে দিয়া মির্জা সাহিল সংঘ নামের একজন ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেন। কিন্তু তাদের এই বিয়েটা বেশিদিন টেঁকেনি। ২০১৯ সালে তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। এরপর ২০২১ সালে বৈভব রেখিকে বিয়ে করেন দিয়া। বৈভবও আগেই বিবাহিত ছিলেন এবং তার একটি কন্যা সন্তান ছিল।
তবে পুরনো অতীত ভুলে দিয়া এবং বৈভব নতুন করে সংসার শুরু করেন ২০২১ সালে। বৈভবের কন্যা সন্তানকেও মাতৃস্নেহে আগলে রেখেছেন দিয়া। বিয়ের কিছুদিন পর এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তিনি। কিন্তু এখনও তিনি তার সৎ বাবার উপাধিই ধারণ করে চলেছেন নামের পাশে।