টাকার লোভে বিক্রি করেছেন সম্মান, দেহব্যবসায় জড়িয়ে জেল খেটেছেন এই ৭ অভিনেত্রী

বলিউড (Bollywood) অভিনেত্রীদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার লোভে ভুল পথে পা বাড়িয়েছেন। ইন্ডাস্ট্রির লাইম লাইটে থাকতে গিয়ে তারা কার্যত অন্ধকার পথে এগিয়ে গিয়েছেন। আজ এই প্রতিবেদনে রইল এমন সাতজন অভিনেত্রীর তালিকা যারা দেহ ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। যে কারণে তাদের জেলে পর্যন্ত যেতে হয়েছিল।

শ্বেতা বসু প্রসাদ (Shweta Basu Prasad) : ‘মাকড়ি’ ছবির সেই ছোট্ট মেয়েটিকে নিশ্চয়ই মনে আছে আপনার? শাবানা আজমির ছবিতে দ্বৈত ভূমিকায় অভিনয় করেছিল সে। ছোট্ট মেয়েটির অভিনয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন সকলে। সেই মেয়েটাই বড় হয়ে দেহ ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। তাকে গ্রেফতার করা হলে তিনি জানান তাকে এই কাজে ভিকটিম বানানো হয়েছিল।

Sherlyn Chopra

শার্লিন চোপড়া (Sherlyn Chopra) : বলিউডের আরেক জনপ্রিয় মডেল হলেন শার্লিন চোপড়া। তিনিও একসময় এই কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন। পরে তিনি স্বীকার করেন আর্থিক সমস্যার কারণে তাকে এই পথে আসতে হয়েছিল। তবে এখন অতীত ভুলে তিনি মডেলিং নিয়ে নতুনভাবে এগোচ্ছেন।

নীতু আগারওয়াল (Neetu Agarwal) : নীতু আগরওয়াল ছিলেন বলিউডের উঠতি মডেল। তিনিও তার কেরিয়ারের শুরুতেই চোরা চালানের অভিযোগে গ্রেফতার হন। অন্ধপ্রদেশ পুলিশের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়েছিলেন তিনি। যে কারণে তাকে বেশ কিছুদিন জেলে থাকতে হয়েছিল।

Aish Ansari

আইশ আনসারি (Aish Ansari) : এই সুন্দরী মডেলও সেক্স র‌্যাকেটের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছিলেন। তেলেগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে বেশকিছু কাজ করেছিলেন তিনি। কিন্তু তাকেই ২০১১ সালে যোধপুর পুলিশ গ্রেফতার করে।

ভুবনেশ্বরী (Bhuvaneswari) : দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বেশ নামী অভিনেত্রী ছিলেন ভুবনেশ্বরী। বেশ কিছু বি গ্রেড ছবিতে তাকে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল। সেই সঙ্গে তিনি কিছু টেলিভিশন ধারাবাহিকেও কাজ করেন। তাকে বেশ কয়েকবার পুলিশ পতিতাবৃত্তির দায়ে গ্রেফতার করে। কিন্তু রাজনীতিকদের সঙ্গে ভাল যোগাযোগ থাকায় তিনি প্রতিবার শাস্তির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন।

Caroline

ক্যারোলিন (Caroline) : এই তামিল অভিনেত্রীকেও পুলিশ হাতেনাতে ধরেছিল। তিনি একটি পাঁচতারা হোটেলে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েন। পুলিশ এরপর তাকে গ্রেফতার করে এবং তার বেশ কিছুদিনের জেল হয়।

Sangeetha Balan

সঙ্গীতা বালান (Sangeetha Balan) : এই তামিল অভিনেত্রীকেও দেহ ব্যবসার অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ২০১৮ সালে তিনি একটি রিসোর্ট থেকে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। তার সঙ্গে গ্রেফতার হন আরও চারজন তরুণী। তারা দাবি করেছিলেন সংগীতাই তাদের এই পথে এনেছেন।